সিবিআই ফের সক্রিয় হয়ে ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে গ্রেফতার শুরু করতেই তৃণমূলের ‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে নতুন করে সরব হল সিপিএম। তাদের হাতিয়ার এখন গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বহু নেতার জমা দেওয়া হলফনামায় ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ। যার কিছু নমুনা তুলে ধরে সিপিএমের প্রশ্ন, এক এক জন জনপ্রতিনিধির ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ৫ বছরে এত বাড়ে কী করে?
নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে যে হলফনামা কমিশনে জমা দিতে হয়, তার খতিয়ান থেকেই দেখা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা বা পরিষদীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সম্পত্তি কারও ৩০০%, কারও ৫৫০%, কারও ৭০০% বা কারও ১০০০% বেড়েছে পাঁচ বছর দল ক্ষমতায় থাকার পরে!
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘সারদা বা রোজভ্যালি নিয়ে তো হইচই চলছেই। তৃণমূলের এই সব নেতা-মন্ত্রীদের নিজেদের ঘোষণা অনুযায়ীই সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল হারে বেড়েছে।’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন পাল্টা বলেছেন, ‘‘সুজনের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে! ’’