Al Qaeda

জঙ্গি-প্রশিক্ষণ দিত সামির: এসটিএফ

শুক্রবার রাতে এসটিএফের হাতে সামির ডায়মন্ড হারবারে এবং মুম্বইয়ে সাদ্দাম হোসেন শেখ নামে অন্য এক সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৪০
Share:

পশ্চিমবঙ্গে নতুন মডিউল তৈরি করেছিল আল-কায়দা। প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশে বসে থাকা জঙ্গিদের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে নতুন মডিউল তৈরি করেছিল আল-কায়দা। সম্প্রতি জঙ্গি সন্দেহে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতারের পরে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ জানায়, ধৃতদের অন্যতম সামির হোসেন শেখ জঙ্গি সংগঠনে নতুন সদস্য জোগাড় করে প্রশিক্ষণ দিত। ওই সংগঠনের কোচবিহার ও ময়নাগুড়ির দায়িত্বে থাকা সদস্যেরা পলাতক। বঙ্গে আল-কায়দার শিকড় কতটা গভীরে পৌঁছেছে, পলাতকদের সন্ধান পেলেই তা জানা যাবে।

Advertisement

শুক্রবার রাতে এসটিএফের হাতে সামির ডায়মন্ড হারবারে এবং মুম্বইয়ে সাদ্দাম হোসেন শেখ নামে অন্য এক সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা পড়ে। তদন্তকারীদের দাবি, জঙ্গি সংগঠনে তাদের মূল ভূমিকা ছিল সাহায্যকারী বা আশ্রয়দাতার। বাংলাদেশি চাঁইদের নির্দেশে তারা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সদস্য সংগ্রহ করছিল। কয়েক জনকে সদস্য করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবারে।

এর আগেই ধৃত রাকিব ওরফে হাবিবুল্লার সঙ্গে সামিরের যোগ ছিল বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। সাদ্দামের বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের পারুলিয়া কোস্টালের দরি কৃষ্ণনগর গ্রামে। রবিবার তার প্রতিবেশীরা কিছু বলতে চাননি। সাদ্দামের তিন সন্তান, বাবা আসগর খান এবং মা সাকিনা বিবি বাড়িতে আছেন। দিনমজুর আসগর বলেন, “ছেলে ছোটবেলা থেকেই মামার বাড়িতে থাকে। টাকার অভাবে বেশি পড়াতে পারিনি। দর্জির কাজ করতে সাদ্দাম মুম্বই যায়।’’ সাকিনা জানান, কিছু দিন ধরে ফোন বন্ধ ছিল সাদ্দামের। টিভিতে ছবি দেখে তাঁরা ছেলেকে চিনতে পারেন। পরিবারের দাবি, সাদ্দামকে ফাঁসানো হয়েছে।

Advertisement

ডায়মন্ড হারবারের চাঁদনগর দেউলপোতার বাসিন্দা সামিরের বাবা নেই। বৃদ্ধা মা মনুজান বিবি শয্যাশায়ী। ১৫ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় সামির আরবিতে স্নাতক। দাদা কাশেম শেখ জানান, শুক্রবার রাতে পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলে সামিরকে তুলে নিয়ে যায়। জানায়, ফেসবুকে বাজে ছবি পোস্ট করেছে সামির। পরিবারের দাবি, ফাঁসানো হয়েছে সামিরকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন