ধৃত অভিজিৎ পুণ্ডারী । রানাঘাট আদালত চত্বরে। —নিজস্ব চিত্র।
একেবারে ভাবলেশহীন মুখ। যেন কিছুই হয়নি এমন ভাব করে এজলাসে দাঁড়িয়ে এ দিক-ও দিক দেখছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারী। মঙ্গলবার আদালত যখন তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দিল তখনও তিনি নির্বিকার।
সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। এসিজেএম সঙ্ঘমিত্রা পোদ্দার তাঁর পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ অভিজিৎকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। তখন তাঁর মুখ ঢাকা ছিল। কোর্ট লক আপে রাখার পরে দুপুর দুটো নাগাদ তাঁকে এজলাসে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী সুমিত মণ্ডল তাঁর ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের জন্য আবেদন জানান। বিচারক তা মঞ্জুর করেন। এই আবেদনের সময়ে আদালতের প্রশ্নের উত্তরে অভিজিৎ বলে, “পার্টিগত দিক থেকে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” ব্যস ওই এক বারই। এ ছাড়া আর কোনও কথা এ দিন তিনি বলেননি।
তিনটি কারণে ধৃতের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামলার সরকারি আইনিজীবী সুমিত মণ্ডল। তিনি বলেন, “মনে করা হচ্ছে আরও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যেতে পারে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার পুননির্মাণ করা দরকার।” জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “বিষয়টি এখন সিআইডি তদন্ত করছে।”
বিধায়ক খুনের ঘটনার দিন থেকেই পলাতক ছিল অভিজিৎ। তাঁর বাড়ি হাঁসখালির ফুলবাড়িতে সত্যজিৎ বিশ্বাসের বাড়ির কাছেই। অভিজিৎ এক সময়ে বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজে টিএমসিপির ছাত্র সংসদের কোষাধ্যক্ষ ছিল। আগাগোড়াই সত্যজিতের বিরোধী গোষ্ঠীতে অবস্থান করতেন। ঘটনার দিন রাতে যেমন একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় তেমনই পরেও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।