ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক স্তরে পঞ্চম শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করতে এ বার জেলায় জেলায় প্রাথমিক ও জুনিয়র বেসিক স্কুলের যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠাল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবন থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছে চিঠি গিয়েছে।
প্রাথমিকের সব জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে ১০ অগস্টের মধ্যে রিপোর্ট স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠাতে হবে। কী কী তথ্য জানাতে হবে তা-ও বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রাথমিক এবং জুনিয়র বেসিক স্কুলের সংখ্যা, পড়ুয়া ও শিক্ষকের সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচাগার রয়েছে কি না, পানীয় জলের ব্যবস্থা কেমন, চেয়ার-বেঞ্চের সংখ্যা কত, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক স্তরে পঞ্চম শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু প্রাথমিক স্কুলগুলির যা পরিকাঠামো, তাতে পঞ্চম শ্রেণি চালু হলে এক ধাক্কায় প্রায় ১৮ লক্ষ পড়ুয়া বেড়ে যাবে। তা আদৌ সামলানো যাবে কি না, তা নিয়েই ধন্দে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাই রাজ্য সরকার চাইলেও আগামী বছর থেকে এই পদ্ধতি চালু করা না-ও সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারাই। আপাতত বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের সর্বশিক্ষা মিশনের রিপোর্টে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোর পরিকাঠামোর অভাব প্রকট। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষকের অপ্রতুলতা। প্রাথমিক স্তরে পঞ্চম শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে এই বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া দরকার বলে মনে করছে স্কুল শিক্ষা দফতর।