শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সরকারি ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে টানা ৫৯ দিনের গরমের ছুটি কমানোর ইঙ্গিত দিলেও কবে স্কুল খুলবে, মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তা জানাননি। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লিখে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, স্কুল খুলবে ১০ জুন। ফেসবুকে পার্থবাবুর এই ঘোষণার কিছু ক্ষণের মধ্যেই স্কুলশিক্ষা দফতরের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক— সব স্তরের স্কুল বন্ধ থাকছে ৮ জুন পর্যন্ত। ৯ জুন রবিবার থাকায় স্কুল খুলবে ১০ জুন। অর্থাৎ ছুটি কমে গেল ২০ দিন।
সাধারণ ভাবে প্রতি বছর স্কুলে ১৭ মে থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষ বা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকে। এ বার ঘূর্ণিঝড় ফণীর হুঙ্কারের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের জন্য ৩ মে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে গরমের ছুটি দিয়ে দেয় স্কুলশিক্ষা দফতর। ৩ মে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন এক নির্দেশিকায় জানান, ছুটি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড় সাময়িক ব্যাপার। তা ছাড়া গরম যত তীব্রই হোক, টানা প্রায় দু’মাস গরমের ছুটি কেন, সেই প্রশ্ন ওঠে। বির্তকের ঝড় ওঠে। এত দিন স্কুল বন্ধ থাকলে পাঠ্যক্রম শেষ হবে কী ভাবে, যে-সব পড়ুয়া মিড-ডে মিলের উপরে নির্ভর করে থাকে, তাদের কী হবে, পড়ুয়াদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানোরই বা কী হবে, সেই সব প্রশ্নে বিতর্ক জোরদার হয়। ছুটি কমানোর দাবি জানিয়ে শহরের রাজপথে মিছিল করেন শিক্ষকেরা। অনেক জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের জুটিয়ে এনে ছুটিতেই ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা হয়। গরমের ছুটি কমানোর আর্জি জানান শিক্ষক সংগঠনগুলিও। ২৮ মে অর্থাৎ গত মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী জানান, ছুটির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন। গরমের ছুটি কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
গরমের ছুটি ২০ দিন কমে যাওয়ায় স্বভাবতই খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, ছুটি ছাঁটাইয়ের ফলে পাঠ্যক্রম শেষ করতে আর কোনও অসুবিধা হবে না।