শ্রদ্ধা: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের জন্য। কাটোয়ায়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
কাশ্মীরে নিহত জওয়ানদের পরিবারের সদস্যদের অর্থ সাহায্য করতে এগিয়ে এল কালনার বিদ্যাসাগর শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি সুব্রত পাল এ দিন একটি তহবিল তৈরি করে নিজে এক লক্ষ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও পরিচালন সমিতির অন্য সদস্যেরা অর্থ সংগ্রহ শুরু করে দিয়েছেন। শীঘ্রই তা নির্দিষ্ট তহবিলে পাঠানো হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি।
এ দিন নিহত জওয়ানদের উদ্দেশ্যে কলেজে বেদি তৈরি করে শোকজ্ঞাপন করা হয়। জ্বালানো হয় মোমবাতি। সুব্রতবাবু জানান, কলেজের ভিতরে পাথর দিয়ে একটি বড় শহিদ বেদি তৈরি করা হবে। সেখানে খোদাই করা থাকবে নিহত জওয়ানদের নাম। প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি কলেজে শোকপালন হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের জালুইডাঙা এলাকায় নিউস্টার ক্লাবের তরফেও নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি মিছিল করা হয়। গলসির মিঠাপুর শ্রীদুর্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে, হাতে মোমবাতি নিয়ে মিছিল করে।
কালনার কলেজে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা। নিজস্ব চিত্র
শনিবার শোভাযাত্রা করে ক্লাবের সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জনের কথা ছিল আউশগ্রামের ভেদিয়া উত্তরপাড়া তরুণ সঙ্ঘে। কিন্তু কাশ্মীরের ঘটনার পরে শোভাযাত্রা বাতিল করা হয়। শনিবার ক্লাবের তরফে মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করে গিয়ে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। ক্লাবের সম্পাদক রবিশঙ্কর মাজি জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় এ বার কোনও অনুষ্ঠান করা হয়নি। তবে রবিবার পরীক্ষা না থাকায় শনিবার শোভাযাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু পুলওয়ামার ঘটনার পরে সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়। আউশগ্রামের পান্ডুকে স্বামী বিবেকানন্দ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যেরা এ দিন সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে এলাকা পরিক্রমা করেন। গুসকরা ইটাচাঁদার বাসিন্দারাও একই কর্মসূচি নেন। গুসকরার প্রাক্তন সেনাকর্মীরা বারোয়ারিতলায় শোকসভা করেন। কাটোয়ায় মোমবাতি মিছিল করেন টোটো চালকেরা।