partha chatterjee

১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খোলার ভাবনায় রাজ্য, কোভিড বিধি মেনেই: শিক্ষামন্ত্রী পার্থ

আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যই স্কুল খোলার ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোভিড-বিধি মেনেই ক্লাস হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৩৯
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ফের স্কুল খোলার ভাবনায় রাজ্য। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার থেকে স্কুল খোলার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যই স্কুল খোলার ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোভিড-বিধি মেনেই ক্লাস হবে। তার নীচের স্তরে কবে থেকে ক্লাস হবে তা নিয়ে যদিও কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ভাবনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক রয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সেখানে আলোচনা হবে। সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পার্থ।

Advertisement

গত ডিসেম্বর থেকেই শিক্ষামন্ত্রী একাধিক বার স্কুল খোলার বিষয়ে রাজ্যের ভাবনার কথা বলেছেন। গত জানুয়ারি মাসেও তিনি সংক্রমণের কথা মনে করিয়ে স্কুল খোলার বিষয়ে রাজ্যের ‘খেয়াল আছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘১২ ফেব্রুয়ারি থেকে যদি স্কুল খোলা যায়, ভাবনা রয়েছে। কোভিড-বিধি মেনেই হতে পারে ক্লাস। নবম থেকে দ্বাদশ অবধি ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে।’’

করোনা-কালে গত বছরের মার্চ থেকে যে লকডাউন শুরু হয়, সেই সময় থেকেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশ দেয়, অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে যেতে পারবে। কিন্তু সেই সময় রাজ্য সরকার ওই সিদ্ধান্তে সায় দেয়নি। পার্থ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলা হবে না। তার আগেই যদিও এ রাজ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে সরকার ঘোষণা করেছিল। তার পর সেই মেয়াদ বাড়ে। নভেম্বরে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানায়, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি-সহ রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা পড়ুয়া, কেউই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ঢুকতে পারবেন না। পরে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে খুলে যেতে পারে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অতিমারি পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে রাজ্য সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। পড়ুয়াদের ভাগ করে স্কুলে আনা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা করার কথাও বলেন পার্থ।

Advertisement

গত জানুয়ারিতে পার্থ জানিয়েছিলেন, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। স্কুল বন্ধ থাকলেও, রাজ্য যে পঠনপাঠন বন্ধ করেনি, সে কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। অনলাইন ক্লাস, ফোন, টিভি মারফত পঠনপাঠন চলছিল। পরীক্ষাও হচ্ছিল। পার্থ সেই সময় বলেছিলেন, ‘‘স্কুল কলেজ খুললেই হবে না। ছাত্রছাত্রীরা যাতে আক্রান্ত না হয়, সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্যে স্কুল খোলা হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ ছড়ানোয় ফের তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন