গুরুদাস দাশগুপ্ত।
টানা ১৭ বছর এআইটিইউসি-র শীর্ষ পদে থাকার পরে অব্যাহতি নিলেন বর্ষীয়ান সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত। এ দেশে কমিউনিস্ট পার্টির শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ পদে তিনিই দীর্ঘতম মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যা এস এ ডাঙ্গের চেয়েও বেশি দিন। গুরুদাসবাবু সরে দাঁড়ানোয় এআইটিইউসি-র নতুন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন অমরদীপ কউর। কমিউনিস্ট পার্টির শ্রমিক সংগঠনে তিনিই প্রথম মহিলা সাধারণ সম্পাদক। গত বছর সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর সর্বভারতীয় সভানেত্রী হয়েছেন কে হেমলতা। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে মহিলা মুখ এনে তাদের চেয়ে এক কদম এগিয়ে গেল এআইটিইউসি।
রাঁচীতে সংগঠনের তিন দিনের জেনারেল কাউন্সিল অধিবেশনে স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাসবাবু। উপ সাধারণ সম্পাদক অমরদীপকে তাঁর জায়গায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতির ভিত্তিতেই অনুমোদিত হয়েছে কাউন্সিলে। মোট ৫ বার সম্মেলন থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন গুরুদাসবাবু। এআইটিইউসি-র পরবর্তী সর্বভারতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা ২০২০ সালে। ঘটনাচক্রে, তখনই শতবর্ষে পা দেবে ওই শ্রমিক সংগঠন। মুম্বইয়ের অধিবেশন থেকে ১৯২০ সালে পথ চলা শুরু হয়েছিল তাদের। কিন্তু গুরুদাসবাবু পরবর্তী সম্মেলন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাননি।
রাঁচী থেকে সোমবার বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘শরীরের কারণে এখন আর নানা জায়গায় কর্মসূচি বা বৈঠকে যেতে পারছি না। সক্রিয়তা না থাকলে পদ আঁকড়ে থাকার কোনও মানে হয় না।’’ শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ পদে মহিলা মুখের অধিষ্ঠানকেও যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন গুরুদাসবাবু।