—ফাইল চিত্র।
কোচবিহারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা এবং পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবারই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বুধবার গ্রেফতার করা হল আরও চার জনকে।
কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা জানান, এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন রঞ্জিত দে, জাহিরুল ইসলাম, শুকলাল রবিদাস, আশরাফুল ইসলাম, হরিধন সরকার, মহম্মদ হাবিব এবং সইদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার কোচবিহারে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিল শুভেন্দুর কনভয়। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কোচবিহার সদর লাগোয়া খাগরাবাড়িতে বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কনভয়ে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের একটি গাড়ি এবং পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর হয়। লাঠি-পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় শুভেন্দুর ‘বুলেটপ্রুফ’ গাড়িতেও।
শুভেন্দুর কোচবিহার সফরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জেলার ১৯টি জায়গায় অবস্থান-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙায় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখান তৃণমূল কর্মীরা। খাগরাবাড়ি মোড়ের কাছে মঞ্চ বেঁধে উদয়ন গুহরা অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন। শুভেন্দুর কনভয় খাগরাবাড়ি মোড়ের কাছে এসে ভিড়ের কারণে গতি কমায়। সেই সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা দূর থেকে শুভেন্দুর কনভয় দেখে হইচই শুরু করেন। গাড়ি আরও কাছে আসতে তাঁরা কনভয়ের দিকে ছুটে যান। গাড়ি খুব আস্তে চলতে থাকে। অভিযোগ, তার মধ্যেই হামলা হয়। কনভয়ে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেয়।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে কথা বলেছেন দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। ঘটনাটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শাহের মন্ত্রক এই নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইতে পারে বলেই সূত্রের ইঙ্গিত। শুভেন্দু নিজে বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতাকে খুনের চেষ্টা হয়েছে। খুনের চেষ্টার মামলার প্রত্যক্ষ আসামি উদয়ন গুহ, পরোক্ষ আসামি কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। এঁদের সঙ্গে আদালতে দেখা হবে।’’
পাল্টা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন বলেন, ‘‘অশান্তি তৈরি করতে শুভেন্দু কোচবিহারে এসেছিলেন। বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ীদের হেনস্থা, অসম থেকে ভিন্দেশি সন্দেহে আদালতের নোটিস নিয়ে মানুষ খেপে রয়েছেন। সে সব ঢাকতে উনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’