— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিক সেজে ভুয়ো নথিপত্র দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ৬২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক দল যুবকের বিরুদ্ধে! ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সম্প্রতি ভুয়ো পরিচয়পত্র, বেতনের ভুয়ো নথি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখা থেকে মোট ছ’টি এমন ঋণ নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তেরা সকলেই নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিক হিসাবে। কেউ সেচ দফতর, তো কেউ স্বাস্থ্য দফতর, কেউ আবার বনবিভাগের আধিকারিক সেজে এসেছিলেন! চাকরি এবং বেতন সংক্রান্ত ভুয়ো নথিও জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। এ ভাবে ছ’বারে মোট ৬২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তদন্তে নেমে সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। কথা বলা হয় ব্যাঙ্ককর্মীদের সঙ্গেও। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মূলত বাঁকুড়া এবং বর্ধমানের এক দল ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত। এর পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে আকাশ ধীবর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ২৮ বছরের ওই যুবক ঋণ নেওয়ার জন্য ভুয়ো নথিপত্র বানানোর কাজ করতেন। এই কাজের জন্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ‘পারিশ্রমিক’ও নিয়েছিলেন আকাশ। মোট ৬২ লক্ষ টাকার মধ্যে ২১ লক্ষ টাকাই তাঁর কাছ থেকে মিলেছে।
আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তদন্ত চলছে। অন্য দিকে, ধৃত আকাশকে বুধবারই কলকাতার আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।