কোচবিহারে শাহরুখ ভক্তদের উল্লাস। — নিজস্ব চিত্র
যে নায়কের জন্য তাঁদের উন্মাদনা, সেই নায়কের থেকেই মিলল ধন্যবাদ! সত্যিই সত্যিই ট্যুইটারে শাহরুখ লিখেছেন, ‘থ্যাংক ইউ কোচবিহার!’’? বিশ্বাস হচ্ছিল না শাহরুখের ফ্যানদের। বিস্ময়ের ঘোর কাটার পরে আবেগে ভাসছে কোচবিহার।
আবেগের শুরুটা হয়েছিল অবশ্য সেই সকাল থেকে। এসআরকে-র প্রচার ট্রেন আসেনি, তবে বুধবার দিল্লি-মুম্বইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তরের কোচবিহারেও ‘রইস’ ঘিরে উন্মাদনার ঝড় আছড়ে পড়ল। মুক্তির দিনেই কিঙ্গ খানের ছবি দেখাই শুধু নয়, বিতর্ক ভুলে শাহরুখ বন্দনাতেও উৎসাহ ছিল নজরকাড়া। নানা রঙের বেলুন, ব্যানার, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে শোভাযাত্রা থেকে চকলেট বিলি কোনও কিছুই বাদ ছিলনা। এ দিন ‘ফ্যান’ পরবর্তী বছরের প্রথম ছবি শো শেষে ভক্তরা স্লোগানও দেন, ‘শাহরুখ, শাহরুখ।’
তবে আবেগ বাঁধ ভাঙে রাত সাড়ে নটা নাগাদ। দুপুরেই ঢাকঢোল বাজিয়ে ‘রইস’ দেখতে যাওয়ার ছবি শাহরুখকে ট্যুইট করেছিলেন ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ সেই ট্যুইটের জবাব দেন শাহরুখ। ধন্যবাদ জানান কোচবিহারকে। সে কথা জেনেই আপ্লুত ফ্যান ক্লাবের সম্পাদক সুমন ভট্টাচার্য। বললেন, “এটা যে কতটা আনন্দের বলে বোঝানো যাবে না!’’
ট্যুইটে কোচবিহারকে ধন্যবাদ শাহরুখের।
এ দিন দুপুরে কোচবিহারের রামভোলা স্কুল লাগোয়া এলাকা থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করেন শাহরুখ ভক্তরা। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে শাহরুখপ্রেমী মাঝবয়েসীদের অনেকেই তাতে সামিল হন। ফ্যান ক্লাবের সদস্য অনিবার্ণ চক্রবর্তী বলেন, “রাজমাতা দিঘি, গুঞ্জবাড়ি মোড় থেকে কেশব রোড, র্যালি যেদিক দিয়ে এগিয়েছে, সেখানেই উৎসাহীরা অভিবাদন জানিয়েছেন।” ভক্তদের অনেকের আশা, যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে এ বার জবাব দেবে ‘রইস’।
কোচবিহারের মিনি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া যে সিনেমা হলে ওই ছবিটি চলছে, সেখানকার ম্যানেজার অজয় বক্সি বলেন, “এসি, নন এসি বক্স সবই আগাম বুকিং হয়ে যায়। দর্শকাসন ছিল ভিড়ে ঠাসা। আমরা আশাবাদী, রইস ছবিটি লম্বা রেসের ঘোড়া।” ছবি শুরুর পর সিনেমা হলের ভিতরেও শাহরুখের ‘ডায়লগ’ শুনে বহুবার করতালির রোল ওঠে। শো শেষে বেরোনর সময়েও দর্শকদের কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, সম্প্রীতির বার্তাটাও দারুণ দিয়েছেন শাহরুখ।