Shankar Adhya

‘হেনস্থা করেছে ইডি, জোর করে কথা বলিয়ে নিয়েছে’! কুন্তলের মতো আদালতে চিঠি দিলেন ‘ডাকু’ শঙ্করও

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল সুপার মারফত কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারকের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন শঙ্কর। গত শুক্রবার চিঠিটি আদালতে জমা পড়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৮
Share:

কুন্তল ঘোষ এবং শঙ্কর আঢ্য। —ফাইল চিত্র।

জেরার সময় ইডির বিরুদ্ধে হেনস্থা, ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ। এ বার রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যও একই অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে! আদালতে দেওয়া একটি চিঠিতে তৃণমূল নেতার অভিযোগ, হেফাজতে তাঁক হেনস্থা করেছে ইডি। জোরজবরদস্তি কথা বলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন শঙ্কর।

Advertisement

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল সুপার মারফত কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারকের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন শঙ্কর। গত শুক্রবার চিঠিটি আদালতে জমা পড়েছে। তার পিটিশন নম্বর হল— ১৩৪৩/ডব্লউও। চিঠিতে শঙ্কর দাবি করেছেন, ইডি হেফাজতে তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে। জোর করে কিছু কাগজে সই করানো হয়েছে তাঁকে দিয়ে। এর জেরে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে প়়ড়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, চিঠিটি ইডিকেও দিতে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে পরবর্তী শুনানিতে।

এ বিষয়ে শঙ্করের আইনজীবী জাকিন হোসেন বলেন, ‘‘আমার মক্কেল চিঠিটা নিজের হাতে লিখে সত্যি ঘটনা বলেছেন। জেলের নিয়ম মেনে সেই কাজ করেছেন উনি। চিঠিতে উনি লিখেছেন, তাঁকে জোর করে বেশ কয়েক জনের নাম বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’’

Advertisement

গত বছর কুন্তলও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে চমকানো-ধমকানো, শারীরিক ভাবে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। তা নিয়ে বিস্তর শোরগোল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। কুন্তল চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘‘২১ বছর জেল খাটানোর কথা বলা হচ্ছে। আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করবে বলছে। কিন্তু হাজার অত্যাচারের পরেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কোনও মিথ্যা স্টেটমেন্ট (বয়ান) নিতে পারেনি।’’ কুন্তলের অভিযোগ, অভিষেকের নাম বলাতে না পেরে তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার করেছেন তদন্তকারীরা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘এত চেষ্টা করেও যখন আমার কাছ থেকে মিথ্যা কথা বার করতে পারল না, তখন শুরু হল শারীরিক অত্যাচার। আমার পেটের চামড়া বার বার টেনে ধরা হত। রোজ আমার পেটে যন্ত্রণা হয়। সেটা এসএমও জানেন।’’ কুন্তলের চিঠিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নাম উঠে আসায় তা নিয়ে বিতর্কও হয়। গোটা বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন