শঙ্করের নিশানায় দেবশ্রী

রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে বিঁধে লেখা ওই ‘পোস্ট’ দেখেই শোরগোল পড়ে গেরুয়া শিবিরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

শঙ্কর চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র

‘শেষ পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জে হারের আসল আসামি পাওয়া গেল..আমি..। সৌজন্যে সেন্ট্রাল মিনিস্টার দেবশ্রী চৌধুরী। ফোন করে জানালেন সকালের ট্রেন বা এনআরসি নয়। নিউজ পেপার রিপোর্টারেরা আমার কথায় নিউজ করে..। তাই হেরেছে। যত নিউজ হয়, সব পয়সা দিয়ে আমি করাই। ধন্যবাদ দিদি। এ সব ছাড়ুন সকালের ট্রেনটা দিন। তারপর পার্টি থেকে আমার মতো লোককে তাড়িয়ে দিন’— বুধবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতি তথা দলের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক শঙ্কর চক্রবর্তীর ফেসবুকে এমনই পোস্টে প্রকাশ্যে বিজেপির অন্দরমহলের কোন্দল।

Advertisement

রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে বিঁধে লেখা ওই ‘পোস্ট’ দেখেই শোরগোল পড়ে গেরুয়া শিবিরে।কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলের পরাজয়ের পরে জেলা বিজেপির ভিতরে ‘দ্বন্দ্বের’ চোরাস্রোতের চিহ্ন মিলল এ ভাবেই।

শঙ্করের অভিযোগ— জেলায় দলে ঠিকাদারি-রাজ চলছে। সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বসিয়ে রেখে কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রচারে নামানো হয়েছিল। দলীয় নেতৃত্ব এনআরসির পক্ষে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে পারেননি। এখানেই না থেমে সরাসরি জেলার বিজেপি সাংসদকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেবশ্রীদি রাধিকাপুর থেকে সকালে কলকাতা যেতে ট্রেন চালু করতে পারেননি। এ সবের জেরেই দলের পরাজয় হয়েছে।’’ শঙ্করের কথায়, ‘‘দেবশ্রীদি আমাকে ফোন করে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। আমি দলের রাজ্য নেতৃত্বকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি।’’

Advertisement

এ সব কথা মানতে চাননি দেবশ্রী। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘আমি ওঁকে ফোন করে কোনও অশালীন কথা বলে থাকলে, তিনি কল-রেকর্ড সবাইকে শোনান। আমি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের মন্ত্রিসভার সদস্য। তাঁরাই এ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’’

গত লোকসভা নির্বাচনের ফলের হিসেবে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ওই কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তপন দেবসিংহ প্রায় আড়াই হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারকে পরাজিত করেন।

এ নিয়ে শঙ্করের মন্তব্য, ‘‘দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারের দেবশ্রীদি কত দিন সময় দিয়েছেন, তা সকলেই জানেন।’’ দেবশ্রীর পাল্টা দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে আমাকে গোটা দেশে কাজ করতে হয়। তা সত্বেও যতটা পেরেছি প্রচারে সময় দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন