শশীর মুখে পুরনো স্লোগান

আট বছর আগে যে স্লোগানকে সামনে রেখে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল, এ বার পাহাড়েও তাকেই ফিরিয়ে আনলেন শশী পাঁজা। মিরিকে রবিবার দিনভর প্রচারে তাঁর মুখে শোনা গেল সেই পুরনো ‘চুপচাপ ফুলে ছাপ’।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

মিরিক শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০৪:১৩
Share:

আলিঙ্গন: মিরিকে পুরভোটের প্রচারে তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা। রবিবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

আট বছর আগে যে স্লোগানকে সামনে রেখে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল, এ বার পাহাড়েও তাকেই ফিরিয়ে আনলেন শশী পাঁজা। মিরিকে রবিবার দিনভর প্রচারে তাঁর মুখে শোনা গেল সেই পুরনো ‘চুপচাপ ফুলে ছাপ’।

Advertisement

২০০৯-এ এই স্লোগান সামনে রেখে লোকসভা ভোটে সাফল্য পায় তৃণমূল। তার পরের বছর রাজ্য জুড়ে পুরভোট এবং শেষে ২০১১ সালে বিধানসভায় জয়। এ দিন টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে পদযাত্রা ও সভায় রাজ্যের মন্ত্রী শশী ফিরিয়ে আনলেন সেই পুরনো স্লোগানকেই। মিরিকবাসীকে বললেন, ‘‘মোর্চা হুমকি, টাকার খেলা শুরু হয়েছে। আমাদের পোস্টার, ফ্লেক্স ছেঁড়া হচ্ছে। আমরা কাজ দিয়ে মানুষের মনে থাকতে চাই। তাই সকালে গিয়ে চুপচাপ ফুলে ছাপ দিন।’’

সামনের রবিবার ভোট। তাই প্রচারের শেষ রবিবার মিরিকে কোনও খামতি রাখতে চায়নি তৃণমূল। বিশেষ করে সম্প্রতি মিরিক মহকুমা হয়ে যাওয়ায় সেই হাওয়া কাজে লাগাতে তৎপর ঘাসফুল নেতৃত্ব। তারকা প্রচারক শশী পাঁজা তো ছিলেনই। তাঁকে সঙ্গত করেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। পদযাত্রা করে মিরিক চষে ফেলেছেন তিনি। তার পরে ছিল সভা। রবিবার মিরিকে পদযাত্রা-সভার ধাক্কায় দোকান-বাজার খুলে যায়। বিভিন্ন জনপদ থেকে আসা মনিমায়া তামাঙ্গ,
স্বপ্না রাই বা কৌশল জিম্বারা বলছিলেন, ‘‘আমাদের মহকুমা হয়েছে। জমির অধিকারও হবে শুনেছি।’’ কিন্তু মোর্চার ভয়ে চুপচাপ ভোট দিতেই চান তাঁরা।

Advertisement

চুপচাপ মোর্চা থেকে এর মধ্যেই কেউ কেউ গিয়েছেন তৃণমূলে। যেমন, মিরিকের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান লাল বাহাদুর রাই। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তিনি। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম ঘিসিঙ্গও তৃণমূলের সঙ্গে। সন্ধ্যা ওয়াইবা ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোর্চার প্রার্থী ছিলেন। ভোট-যুদ্ধ থেকে সরে তিনিও এখন দিদির ক্যাম্পে। ৯ আসনের পুরসভায় ৭টিতে লড়ছে তৃণমূল। দু’টিতে জিএনএলএফ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন