স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করলেন কলকাতার মেয়র ও দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার আলিপুর দায়রা আদালতে এই মামলাটি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৭৩৯/২০১৭) দায়ের করা হয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর মামলাটির শুনানির দিন স্থির হয়েছে।
বুধবার এ বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আপনারাই খোঁজ নিয়ে দেখুন কী হয়েছে। জানতে পারবেন। আমার যা বলার তা সময় এলে বলব।’’ তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। সেখানে পাঠানো এসএমএস বার্তারও কোনও জবাব আসেনি। এই মামলা দায়েরের দিন দুই আগে পর্ণশ্রী থানাতেও মেয়র তাঁর স্ত্রীর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে সূত্রের খবর।
নারদ মামলায় শোভনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পরে রত্নাদেবীর নাম খবরের শিরোনামে উঠে আসে। মেয়রের স্ত্রী হিসেবে তিনি ২০১৬ সালে জুন মাসে নিউ মার্কেট থানায় নারদ স্টিং অপারেশনের মূল কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, শোভনের নাম কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন ম্যাথু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ ম্যাথুর নামে তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন: দইও কবে কৌলীন্যের কদর পাবে, আশায় গঙ্গারামপুর
নারদ কাণ্ডের তদন্তে নেমে এই বছরেই সিবিআই এবং ইডি ডেকে পাঠায় মেয়রকে। এই দুই তদন্তকারী সংস্থার কাছে গিয়েই মেয়র জানিয়েছিলেন, তাঁর আয়-ব্যায় সংক্রান্ত যাবতীয় হিসেবপত্তর দেখভাল করেন তাঁর স্ত্রী রত্না। এর পরে রত্নাকেও ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু জুলাই মাস থেকে নভেম্বরের গোড়া পর্যন্ত রত্মাদেবী চিকিৎসার কারণে লন্ডনে ছিলেন। এই মাসের গোড়াতেই ফিরেছেন। এ মাসের শেষে তাঁর ইডি-র কাছে হাজিরা দেওয়ারও কথা।
তার মাঝেই এই বিচ্ছেদের মামলা। রত্নাদেবীর বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসা এবং নিষ্ঠুরতার অভিযোগ আনা হয়েছে। রত্নাদেবীর বাবা দুলাল দাসের কথায়, ‘‘কেউ যদি আমাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করে, তা হলে সে-ই বুঝবে। আমরাও আইন মেনে চলি।’’