Shrikant Mohta

জামিনের আশায় টাকা ফেরাতে চান শ্রীকান্ত

কটক হাইকোর্টে শ্রীকান্ত জামিনের যে-আবেদন করেছেন, তাতেই রোজ ভ্যালি থেকে পাওয়া সাত কোটি টাকা ফেরতের ইচ্ছা প্রকাশ করছেন তিনি।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১২
Share:

ফাইল চিত্র।

অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির আর্থিক তছরুপের মামলায় মাস দশেক কারাবাস হয়ে গিয়েছে তাঁর। এই অবস্থায় ওই সংস্থা থেকে পাওয়া টাকা ফেরত দিতে চাইলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। এর আগে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ও লগ্নি সংস্থার টাকা ফেরত দিতে চেয়েছেন।

Advertisement

কটক হাইকোর্টে শ্রীকান্ত জামিনের যে-আবেদন করেছেন, তাতেই রোজ ভ্যালি থেকে পাওয়া সাত কোটি টাকা ফেরতের ইচ্ছা প্রকাশ করছেন তিনি। তাঁর আশা, টাকা ফেরতের শর্তে তিনি যে-জামিনের আবেদন করছেন, সিবিআই তার বিরোধিতা করবে না। ওড়িশার জেলে বন্দি শ্রীকান্তের জামিনের আবেদন আগামী সপ্তাহে ফের কটক হাইকোর্টে উঠতে পারে।

সিবিআইয়ের খবর, রোজ ভ্যালির চ্যানেলে ৭০টি ছবি দেওয়ার জন্য ওই সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে ২৫ কোটি টাকার চুক্তি করেন শ্রীকান্ত। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী ছবি মেলেনি বলে গৌতম পুলি‌শের কাছে অভিযোগ করেন। টাকা ফেরত পেতে তিনি হাইকোর্টেও যান। হাইকোর্ট নিযুক্ত সালিশিতে সাব্যস্ত হয়, শ্রীকান্ত রোজ ভ্যালির চ্যানেলে দেখানোর জন্য যে-ক’টি ছবি দিয়েছিলেন, তার মূল্য ১৮ কোটি টাকা। তার পরেও সাত কোটি টাকা ফেরত পায়নি রোজ ভ্যালি।

Advertisement

এর মধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন গৌতম। পরে সিবিআই গ্রেফতার করে শ্রীকান্তকে। সিবিআই বলছে, গরিব আমানতকারীদের কাছ থেকে লগ্নি সংস্থার তোলা টাকা রোজ ভ্যালি থেকে পেয়েছিলেন শ্রীকান্ত। কিন্তু তা ফেরত দেননি। যে-সব প্রভাবশালী ব্যক্তির হাতে আমানতকারীদের টাকা পৌঁছেছিল, এই চলচ্চিত্র প্রযোজক তাঁদের অন্যতম। ফলে তাঁকে গ্রেফতার না-করে কোনও উপায় ছিল না। সিবিআইয়ের অভিযোগ, আমানতকারীদের অর্থ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা পাঁচটি ছবি ১৫ লক্ষ টাকায় কেনেন শ্রীকান্ত। সেই সব ছবি সিবিআইয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সেগুলোর মূল্যায়ন করাচ্ছে। ফলে শুধু রোজ ভ্যালির টাকা ফেরত দিয়েই অব্যাহতি পাচ্ছেন না ওই প্রযোজক।

শ্রীকান্তের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হয়, ‘রোজ ভ্যালির সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই টাকা রোজ ভ্যালি কোথা থেকে পেয়েছিল, তার দায় আমাদের নয়। তবু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হলে সেই সাত কোটি টাকাও ফেরত দিতে অসুবিধা নেই।’ ওই সূত্রের আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি শ্রীকান্তের কষ্টার্জিত অর্থে কেনা। কোনও ভাবেই তা লগ্নি সংস্থার টাকায় কেনা নয়। জামিনের আবেদন আদালতে উঠলে এই সব যুক্তিই দেখানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন