Siddiqullah Chowdhury

বীরভূমের গরম হাওয়া বর্ধমানে চাই না, অনুব্রতকে বার্তা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার

তৃণমূল এখন পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিলেও ওই তিন এলাকার দায়িত্বে এখনও অনুব্রতই। এদিকে সিদ্দিকুল্লা অনেক আগে থেকেই এটা বুঝিয়ে এসেছেন যে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ মতো কাজ করতে তিনি নারাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:৪৪
Share:

সিদ্দিকুল্লা, অনুব্রত। ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বার্তা দলেরই বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। শুক্রবার বর্ধমানে সিদ্দিকুল্লা বলেন, বীরভূমের গরম হাওয়া বর্ধমানে ঢুকুক তা তিনি চান না। এই কথার সময়ে অনুব্রতর নাম না নিলেও এই বক্তব্য কার উদ্দেশে তা অবশ্য স্পষ্ট। কারণ, তৃণমূলের দুই নেতার মধ্যে সংঘাত নতুন কিছু নয়। আগেও অনুব্রতর উদ্দেশে নানা কথা বলেছেন সিদ্দিকুল্লা।

Advertisement

প্রসঙ্গত সিদ্দিকুল্লা মঙ্গলকোটের বিধায়ক। অনুব্রত বীরভূমের জেলা সভাপতি হলেও আগে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম ও কেতুগ্রাম বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন। তৃণমূল এখন পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিলেও ওই তিন এলাকার দায়িত্বে এখনও অনুব্রতই। এদিকে সিদ্দিকুল্লা অনেক আগে থেকেই এটা বুঝিয়ে এসেছেন যে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ মতো কাজ করতে তিনি নারাজ।

শুক্রবার বর্ধমানের সার্কিট হা‌উসে সিদ্দিকুল্লা বলেন, তিনি ইচ্ছে করলেই মঙ্গলকোটে বড় বড় মিছিল করতে পারেন। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী হিসেবে তিনি নিয়ম মেনে চলেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ৩ বছর আগে বোলপুর গেষ্ট হাউসে একটি বৈঠকে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা হয়। সেখানে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি উপস্থিত ছিলেন। অনুব্রত-সহ ৬ জন ছিলেন সেই বৈঠকে। সেখানে সুব্রত বক্সি সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার কথাই বলেছিলেন। এর পরেও দলের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ সিদ্দিকুল্লার। তিনি বলেন, "ওরা ও সব মানেনি। দফায় দফায় ঝামেলা করছে, মারধোর করছে, হুমকি দিচ্ছে। বাংলা আবাস যোজনায় অনেকেই ঘর পাচ্ছেন না। তাঁরা আমাকে অভিযোগ করতে এলে অভিযোগকারীদের শাসানো হচ্ছে।"

Advertisement

অতীতে সিদ্দিকুল্লা এমন অভিযোগও তুলেছেন যে, বালি খাদ থেকে পয়সা তুলে বড়লোক হচ্ছেন অনুব্রত আর সরকার রাজস্ব পাচ্ছে না। শুক্রবারও তিনি বলেন, এই সব কাজের জন্য দলের ক্ষতি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বার্থে অনেক কাজ করলেও তার সুফল মানুষ পাচ্ছেন না। সিদ্দিকুল্লার এই সব অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার কোনও মন্তব্য করতেই রাজি হননি অনুব্রত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন