Siddiqullah Chowdhury

Siddiqullah Chowdhury: ত্রাণ দিতে গিয়ে ‘নিগৃহীত’ সিদ্দিকুল্লা

সিদ্দিকুল্লার অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা এবং দুষ্কৃতীর উস্কানিতেই ত্রাণ লুট হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২১ ০৬:৩৭
Share:

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।

ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা ‘জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ’-এর রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেখানে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কিছু নেতার উস্কানিতে এই ঘটনা বলে দাবি মন্ত্রীর। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ব্লকের সরবেড়িয়ার ঘটনা। দলের কারও জড়িত নয়, পাল্টা দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাজাহানের।

Advertisement

সিদ্দিকুল্লা অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা এবং দুষ্কৃতীর উস্কানিতে ত্রাণ লুট হয়েছে। আমাকে ধাক্কা মারা হয়েছে। ত্রাণের গাড়ির চালক-খালাসিদের মারধর করে গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর দুই দেহরক্ষীকেও মারধর করা হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর। ঘটনাটি তিনি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সিদ্দিকুল্লা। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাজ্যের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর উপরে এই হামলা অমানবিক।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, বেলা আড়াইটে নাগাদ মন্ত্রী ত্রাণ নিয়ে পৌঁছন সরবেড়িয়ায়। ত্রাণের গাড়ির চালক মুক্তার আলি বলেন, ‘‘২০-২৫ জনের একটি দল এসে গাড়ি সরবেড়িয়া বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করে। রাজি না হওয়ায় আমাদের মারধর করে গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়। জিনিসপত্র লুট করে।’’ সিদ্দিকুল্লার অভিযোগ, গোলমালের সময়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। জমিয়তের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মন্ত্রীর উপরে হামলার ঘটনায় শনিবার রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শেখ শাজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ মন্ত্রীর। শাজাহান বলেন, ‘‘মন্ত্রী বেছে বেছে ত্রাণ দিতে চেয়েছিলেন। তাই উত্তেজনা ছড়ায়।’’

Advertisement

বসিরহাট জেলা পুলিশ সুপার জবি থমাসের কথায়, ‘‘মন্ত্রীর আসার খবর ছিল না। ত্রাণের তুলনায় ভিড় বেশি হয়। তাই উত্তেজনা ছড়াতে পারে মনে করে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা মন্ত্রীকে নিরাপদে বাসন্তীর দিকে রওনা করায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement