এই সেই স্কুটারটি। নিজস্ব চিত্র।
ভাইকে ফোঁটা দিতে যাওয়ার পথে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দিদির। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে।
মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা সুচিত্রা দাস দলুই পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। এ দিন সকালে তিনি খড়্গপুরে তাঁর ভাই সুশান্ত দলুইয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। স্বামী রতন দাসের স্কুটারে চেপে তাঁরা জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় মোহনপুরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পেছন থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে যান রতন। স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে শুদ্ধ স্কুটার নিয়ে জাতীয় সড়কের উপর পড়ে যান। রাস্তার দিকে ছিটকে যান সুচিত্রা। পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক পিষে দিয়ে যায় পঁয়ত্রিশ বছরের সুচিত্রাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জখম হয়েছেন রতন এবং তাঁদের শিশুকন্যা অপ্রীতি।
আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে বাইক থেকে চলন্ত বাসে উড়ে এল চকলেট বোমা!
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। সুচিত্রার ভাই সুশান্তও পৌঁছন। তিনি বলেন, “দিদি শ্যামচকের একটি স্কুলের শিক্ষিকা। জামাইবাবুও বেলদার স্কুলের শিক্ষক। প্রতি বছর দিদি ভাই ফোঁটার দিন জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।”
আরও পড়ুন: স্কাইওয়াকে থুতু, ধুতে হল অভিযুক্তকে
রতন জাতীয় সড়কে এক স্কুটারে তিন জনকে নিয়ে চালানোর মতো ঝুঁকি নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ। তিনি বেপরোয়া ভাবে চালাচ্ছিলেন কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে তারা।
(দুই বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, 'বাংলার' খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)