নোবেলের সন্ধান পেতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। নোবেল চুরি যাওয়ার বছর তিনেক আগে থেকে ওই এলাকার দাগী দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর আগে সিট-কে নোবেল চুরির তদন্তের জন্য এই ভাবে নড়েচড়ে বসতে দেখা যায়নি।
সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতনে দু’তিন দিন ধরেই সিট-এর একটি দল গিয়েছে। সিট-এর অফিসারেরা এলাকার দাগী দুষ্কৃতীদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন। ২০০৪-এর ২৪ মার্চ শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবন থেকে নোবেল পদক-সহ ৪৭টি স্মারক চুরি হয়ে যায়। তদন্তকারী অফিসারেরা ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো দুষ্কৃতীদের নামের তালিকা করেছেন। সেই তালিকা মিলিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরে শান্তিনিকেতন থানায় এনে জি়জ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। তারা ওই সময় কী করত? তাদের দলে আর কে কে ছিল? এখন কোন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত? এই সব উত্তর জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, নোবেল চুরিতে তাদের কারও হাত রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য আঙুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জন দুষ্কৃতীকে জেরা করেছে সিট। এ ছাড়া প্রদীপ বাউরি নামে এক বাউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে সিবিআই-ও গ্রেফতার করেছিল। কয়েক দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখার পর আঙুলের ছাপ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল সিবিআই।
নোবেল চুরি যাওয়ার পর তৎকালীন বাম সরকার এর তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু গত ১২ বছরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চুরি যাওয়া নোবেল পদক খুঁজে দেওয়া তো দূর অস্ত্, এ সম্পর্কে কোনও প্রামাণ্য তথ্যও জানাতে পারেনি। সে কারণেই গত অগস্ট মাসে শান্তিনিকেতনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেন। কিন্তু তার পরেও বেশ কয়েক মাস নোবেল চুরি সংক্রান্ত তদন্তের কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়েছিল সিটকে। সম্প্রতি তদন্ত শুরু করেছে তারা।