ভর্তিতে তোলাবাজি বরদাস্ত করবেন না, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বার্তা দিয়েছেন। তার পরেও শুক্রবার জয়নগরের দক্ষিণ বারাসত ধ্রুবচাঁদ কলেজে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের (টিএমসিপি) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উঠল ভর্তিতে তোলাবাজির অভিযোগ। কলেজ চত্বরে বোমাবাজিতে জখম হলেন ৬ ছাত্র। পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আপাতত কাউন্সেলিং বন্ধ রেখে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সেই মতো জয়নগরের এই কলেজেও ভর্তি চলছে। তার মধ্যেও এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ ওই ঘটনাকে ঘিরে শিক্ষক-পড়ুয়ারা তো বটেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারাও। বোমার ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চার দিক। ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় কলেজ, বাইরের রাস্তা এবং পাশের রেললাইন ধরে। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। বেগতিক দেখে পুলিশ ডাকেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তৃণমূলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজটিতে কোনও নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেই। টিএমসিপি-র একটি গোষ্ঠী স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের অনুগামী। অপর গোষ্ঠীটি ব্লক সভাপতি গৌর সরকারের অনুগামী। কার হাতে ভর্তির রাশ থাকবে, তা নিয়েই গোলমাল।
বৃহস্পতিবার গৌর গোষ্ঠী বিশ্বনাথ গোষ্ঠীর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার বিশ্বনাথ গোষ্ঠী পাল্টা মার দেয়। লাঠি এবং লোহার রডের আঘাতে জখম হন ভাস্কর পট্টনায়ক নামে এক ছাত্র। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিশ্বনাথের লোকেরাই হামলা চালিয়েছে। টাকা নিয়ে ওঁরা ভর্তি করাতে চাইছে।’’
গৌরবাবুর অভিযোগ, ‘‘বিধায়কের মদতেই এই বোমাবাজি ঘটেছে। কলঙ্কিত হল কলেজের ইতিহাস।’’ বিশ্বনাথবাবু পাল্টা গৌরবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ওঁর মদতেই কলেজে হামলা হয়েছে।’’