SFI All India General Secretary Srijan Bhattacharya

এসএফআইয়ের শীর্ষপদে আবার বাঙালি মুখ! সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন সৃজন

গত শুক্রবার থেকে কেরলের কোঝিকোড়ে শুরু হয়েছিল এসএফআইয়ের ১৮তম সর্বভারতীয় সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী সেই সম্মেলন রবিবার শেষ হয়েছে। সম্মেলন শেষে বাংলার ছাত্রনেতা সৃজন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ১৯:৩৪
Share:

এসএফআইয়ের নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। — ফাইল চিত্র।

আবার সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ পদে বসলেন বাঙালি নেতা। কেরলে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলনে নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সৃজন ভট্টাচার্য।

Advertisement

গত শুক্রবার থেকে কেরলের কোঝিকোড়ে শুরু হয়েছিল এসএফআইয়ের ১৮তম সর্বভারতীয় সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী সেই সম্মেলন রবিবার শেষ হয়েছে। সম্মেলন শেষে বাংলার ছাত্রনেতা সৃজন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসেছেন কেরলের আদর্শ এম সাজি। এর আগের দু’টি মেয়াদে এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাংলারই আর এক নেতা, তথা প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী ময়ূখ বিশ্বাস। সভাপতি পদে ছিলেন কেরলের ভিপি সানু। তাঁরা এ বার ছাত্র সংগঠন থেকে সরে এলেন, বদলে নতুন দায়িত্ব পেলেন সৃজন এবং সাজি।

সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন এবং সর্বভারতীয় সভাপতি আদর্শ এম সাজি। ছবি: সংগৃহীত।

সাধারণত দেখা যায়, এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বাংলা থেকেই নির্বাচিত হয়ে থাকেন। বিমান বসু থেকে সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী থেকে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়— অতীত ঘাঁটলে দেখা যাবে, বার বারই সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে জায়গা করে নিয়েছেন বাঙালিরা। তবে কখনও কখনও সেই ধারাবাহিকতায় ছেদও পড়েছে। যেমন, ঋতব্রত এখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। ঋতব্রত এসএফআই ছাড়ার পরে সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন হিমাচল প্রদেশের নেতা বিক্রম সিংহ। সেই মেয়াদে বাংলার কেউ দায়িত্বই পাননি। তবে সেটা ব্যতিক্রম। এ বারেও দেখা গেল, ময়ূখের পরে দায়িত্ব পেলেন যাদবপুরের প্রাক্তনী সৃজন।

Advertisement

উল্লেখ্য, বাংলায় ছাত্রনেতা থাকতে থাকতেই সিপিএমের হয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন সৃজন। প্রথম বার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হুগলির সিঙ্গুরে তাঁকে প্রার্থী দাঁড় করায় দল। এর পর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও যাদবপুর আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সৃজন। কিন্তু দু’বারই জামানত খোয়াতে হয় তাঁকে। সিপিএমের একটি অংশের ধারণা, ২০২৬ সালের নির্বাচনে ফের যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী করা হতে পারে সৃজনকে। কিন্তু তার আগেই ছাত্রসংগঠনের সর্বভারতীয় দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে দিল্লি পাঠিয়ে দিল দল। আপাতত বাংলার থেকে দিল্লিতেই বেশি সময় দিতে হবে তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement