প্রতি বছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন না করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ধাঁচে কলেজের পরিচালন সমিতিগুলিই ছাত্রদের নিয়ে বোর্ড তৈরি করে দিক। এমনই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতি বছর নির্বাচনের নামে শক্তির অপচয় প্রয়োজন নেই। সেন্ট জেভিয়ার্সের গভর্নিং বডি যেমন একটি বোর্ড তৈরি করে, তেমন হলে সমস্যা মিটে যায়।’’
ক্যাম্পাসে হিংসা, মারামারির বিষয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেন, গোটা বাংলার হাজার হাজার কলেজ আছে। কয়েকটা কলেজ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। ছাত্রদের রাজনীতি করাটা তাদের অধিকার। তবে সেন্ট জেভিয়ার্সের ধাঁচে ছাত্র বোর্ড গড়ার মডেলটি ভাল বলে রায় দেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভাঙড় থেকে অস্ত্র উদ্ধার করব: মমতা
ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে বারবারই অশান্তির ঘটনা ঘটছে। আর তাতে অগ্রণী ভূমিকা শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বলেই অভিযোগ। ছাত্র সংসদের কর্মপদ্ধতি নিয়েও বারবার অভিযোগ ওঠে। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে কিন্তু কোনও রাজনৈতিক ছাত্র সংসদ নেই। রয়েছে অরাজনৈতিক স্টুডেন্ট’স কাউন্সিল। শিবপুর আইআইইএসটিতেও তা-ই। এই দুই প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংঘর্ষের কোনও ঘটনা ঘটে না। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘আমি নিজেও ছাত্র রাজনীতি করেছি। ছাত্র সংসদের তিন-চারটে কাজ থাকে। নবাগতদের স্বাগত জানানো, সোশ্যাল করা এবং সরস্বতী পুজো। তার জন্য ওরা টাকাও পায়। সেই টাকাটা কে খরচ করবে, তাই নিয়ে গোলমাল হয়। এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়।’’ তাই তাঁর দাওয়াই, ‘‘গভর্নিং বডি যদি বোর্ড তৈরি করে দেয় প্রত্যেক বছরের ছাত্রদের রেখে, তা হলে সমস্যা মিটে যাবে।’’
শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধিকারের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষার একটা অটোনমি আছে। তাতে হস্তক্ষেপ করি না। কিন্তু অটোনমির নামে যদি তোলাবাজি হয় তখন একটু দৃষ্টি দিতে হয়।’’ বেসরকারি স্কুলগুলির একাংশ লাগামছাড়া ফি ও অনুদান নেয়। সেটা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।