ভিতরে চলছে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তখনই বাইরে ছাত্রদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল মৌলানা আজাদ কলেজ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেক পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবারেরর ওই সংঘর্ষে চার জন ছাত্র আহত হন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তবে টিএমসিপি বলছে, বহিরাগত ও প্রাক্তন ছাত্রেরা এসে মারপিট করেছে। খবর পেয়ে তালতলা থানা থেকে বিশাল বাহিনী চলে আসে। মূল গেটে তালা দিয়ে দেন কলেজ-কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সকালে ওই কলেজে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান সেরে সুদীপবাবু চলে যাওয়ার পরেই এক দল যুবক কলেজ-চত্বরে ঢুকে পড়ে। এক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র বলেন, ‘‘হঠাৎ দেখি, কলেজে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেদের সঙ্গে বহিরাগতদের মারপিট শুরু হয়ে গেল!’’
কেন এই সংঘর্ষ? পড়ুয়াদের একাংশের বক্তব্য, ২২ ও ২৩ মার্চ কলেজের ফেস্ট। কার দখলে থাকবে ফেস্ট, তা নিয়েই সংঘর্ষ বাধে। কলেজে টিএমসিপি- সহকারী সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ জাভেদ বলেন, ‘‘আমরাই ফেস্ট পরিচালনা করছি। এর জন্য আট লক্ষ টাকার তহবিল তৈরি হয়েছে। ওই টাকার দখল নিতেই বহিরাগত প্রাক্তন ছাত্রেরা হামলা করে।’’ জাভেদের দাবি, বহিরাগতেরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নয়। যদিও অনেক ছাত্রছাত্রীর অভিযোগ, বহিরাগত প্রাক্তন ছাত্রেরাও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক।
পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে কিছু ছাত্রছাত্রী জানান, এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলাকালীন কলেজের ভিতরে মারপিট চলতে দেখে তাঁরা ভয় পেয়ে যান। বারবার ফোন ও মেসেজ করেও অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্তের বক্তব্য জানা যায়নি।