তল্লাশির নামে বিএসএফের শ্লীলতাহানি, আত্মঘাতী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় শ্লীলতাহানির ঘটনায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানি করে বিএসএফের চন্দ্রকান্ত নামের এক জওয়ান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৬ ১৩:৪০
Share:

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় শ্লীলতাহানির ঘটনায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানি করে বিএসএফের চন্দ্রকান্ত নামের এক জওয়ান। এর পরেই ঘরে ফিরে গলায় দড়ি দেয় ১২ বছরের ছাত্রী রূপসানা খাতুন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১টা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।

Advertisement

হিলি থানার অন্তর্গত গোঁসাইপুর এলাকার পাঞ্চুল গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় টহলদারির নামে প্রায়শই গ্রামের ভিতর চলে আসে বিএসএফের জওয়ানরা। শুধু তাই নয়, গ্রামের মেয়েদের ক্রমাগত উত্যক্ত করা থেকে শুরু করে তল্লাশির নামে যৌন নিগ্রহ, সবই চলে। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ কোচিং থেকে মাঠের আল ধরে বাড়ি ফিরছিল রূপসানা। সেই সময়ই ৭৫ বিএসএফ কোম্পানির ওই জওয়ান তল্লাশির নামে রূপসানার শ্লীলতাহানি করে। মেয়েটি চিৎকার করায় ছুটে আসেন আশেপাশের বাসিন্দারা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাড়ি থেকে ছুটে আসেন রূপসানার মা রিনা দেবী। তিনি মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে ঢুকে দরজায় খিল দেয় রূপসানা। বারবার ডাকাডাকিতেও দরজা না খোলায় দরজা ভাঙতে বাধ্য হন বাড়ির লোক। কিন্তু ততক্ষণে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলে পড়েছে সে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।

পাঞ্চুল গ্রামের প্রধান সন্ধ্যা মালি বলেন, ‘এলাকায় বিএসএফের খুব অত্যাচার। এরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সবসময় হেনস্থা করে। তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানি করে। কিন্তু এদের কোনও মহিলা কর্মী নেই।’

Advertisement

আরও খবর...

হোটেলের ঘরে মহিলাকে খুন, পাঁচিলে যুবকের দেহ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement