ছাত্র খুন, দিনভর অবরোধ

সকাল থেকেই পথ অবরোধ, ভাঙচুর, মারমুখী জনতাকে ঠেকাতে কখনও ছুটে আসছেন জেলা পুলিশের বড় কর্তারা, কখনও শাসক দলের নেতারা— শনিবার সকাল থেকেই, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির চেহারাটা ছিল এমনই উত্তপ্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫৯
Share:

সকাল থেকেই পথ অবরোধ, ভাঙচুর, মারমুখী জনতাকে ঠেকাতে কখনও ছুটে আসছেন জেলা পুলিশের বড় কর্তারা, কখনও শাসক দলের নেতারা— শনিবার সকাল থেকেই, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির চেহারাটা ছিল এমনই উত্তপ্ত।

Advertisement

জলঙ্গির বিএড পড়ুয়া যুবক সেলিম মণ্ডল খুনের ঘটনায় প্রায় ফুটতে থাকা জলঙ্গি শান্ত করতে দুপুরে গ্রেফতারও করা হয় চিন্টু বিশ্বাস নামে এক দুষ্কৃতীকে। তবে, রাতেও এলাকার মানুষের ক্ষোভ কমেনি। তাঁরা জানাচ্ছেন, গাঁজা-দিশি মদের রমরমা ঠেকাতে পুলিশের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের জন্যই মরতে হল সেলিমকে। গাঁজা-দিশি মদের দু’দল কারবারির লড়াইটা প্রায় নিত্য ঘটনায় দাঁড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে। শুক্রবার বিকেলে সেই লড়াইয়ের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিএড পড়ুয়া সেলিম মণ্ডল(২৩)।

স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত ঘেঁষা জলঙ্গির সুধীর সাহা মোড়ে সন্ধ্যা হলে প্রায়ই দু’পক্ষের লড়াই শুরু হয়। কখনও বোমাবাজি, কখনও রাস্তার দু’পাড় থেকে পরস্পরের দিকে ছুটতে থাকে গুলি। শুক্রবার, গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল বিকেলে। বেগতিক দেখে বাড়ির কাছে বাবার চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েন সেলিম। দরমার বেড়া দেওয়া চায়ের দোকানের ভিতরেও ছিটকে এসেছিল গুলি। আর তাতেই লুটিয়ে পড়েন সেলিম। তাঁকে সাদিখাঁড়দেয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, মারা গিয়েছেন ওই যুবক। ওই ঘটনার পরে, শুক্রবার রাতেই বহরমপুর-করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তার জের চলে এ দিনও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement