বিক্ষোভ: কলেজে অবস্থানরত পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র
দাবি আদায়ে চার জনের একটি ছাত্র প্রতিনিধি দলকে কলকাতার বিকাশ ভবনের উচ্চ শিক্ষা দফতরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মালদহের গনি খান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (জিকেসিআইইটি)-এর আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
শুক্রবার কলেজেই একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। তার পরেও যদি সমাধান না হয় তবে কলেজে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বিকাশ ভবনের সামনেও অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করবেন তাঁরা। মালদহ জেলায় জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে রেল অবরোধও হবে। সংস্থার ডিরেক্টর পরমেশ্বর রাও আলাপতি অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। সমস্যা মেটাতে আমরাও চেষ্টা করছি।’’
পড়ুয়াদের আন্দোলন এ দিন ১২ দিনে পড়ল। এ দিনও প্রশাসনিক ভবনের সামনে পড়ুয়ারা শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখানোয় ‘বি’ ব্লকে কর্মীরা ঢুকতে পারেননি। তবে, নবাগত ডিপ্লোমা ও বিটেক পড়ুয়াদের ক্লাস এ দিনও যথারীতি কলেজের ‘সি’ ব্লকে হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
জিকেআইইটি থেকে মড্যুলার প্যাটার্নে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট প্রদান ও ল্যাটারাল এন্ট্রি করে বি টেকে ভর্তির ব্যবস্থার দাবিতে ২৩ জুলাই থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে সোমবার তাঁরা ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেছিল। সেখানে দুই ছাত্র প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের মাথা ন্যাড়া করেন। সেই প্রতিবাদ সভায় যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও যোগ দিয়েছিলেন। পরের দিন থেকে দুই পড়ুয়া রিলে অনশন শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার থেকে পড়ুয়ারা প্রশাসনিক ভবনে কোনও কর্মীকে ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এ দিনও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে এ দিন পড়ুয়ারা তাঁদের আন্দোলনের নতুন রূপরেখা ঠিক করতে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে আন্দোলকারী রুমন শেখ, তাপস মান্না, রবিউল ইসলামরা বলেন, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করতে চাইছেন না। ফলে আমরা আমাদের সমস্যার কথা রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে জানাতে চাই। এ জন্য আগামী মঙ্গলবার চার সদস্যের একটি ছাত্র প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে গিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তাতেও কাজ না হলে কলেজে আমরণ অনশন হবে। বিকাশ ভবনের সামনেও অবস্থান শুরু করা হবে। জেলায় জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধও করা হতে পারে।”