ছাত্রছাত্রীদের একটি বড় অংশ সংরক্ষণের সমর্থন বা বিরোধিতা কোনওটাই করছেন না। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ক্ষেত্রে খুব তড়িঘড়ি করে ‘ডোমিসাইল কোটা’ বা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষণ যাতে চালু করা না-হয়, সেই আবেদন জানালেন পড়ুয়ারা।
এ রাজ্যের বাসিন্দা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৯০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি ইতিমধ্যেই অনুমোদন করেছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন কমিটি সোমবার বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। বৈঠকে উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদের (ফেটসু) সদস্য শাম্ভব চাকী পরে জানান, কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সংরক্ষণের প্রশ্নে পক্ষে নন, আবার বিপক্ষেও নন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির সব পড়ুয়ার মত জানা প্রয়োজন। সামনেই পরীক্ষা। তাই এ ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি সব পড়ুয়ার মত জানা সম্ভব নয়।
সংরক্ষণের বিষয়ে কর্মসমিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ঠিক হয়েছিল, সেটি রাজ্য সরকারের বিবেচনা জন্য পাঠানো হবে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা আলোচনা চেয়েছিলেন। সব পড়ুয়ার মত নিয়ে বিষয়টি সরকারের কাছে পাঠিয়ে আসন্ন শিক্ষাবর্ষেই এই সংরক্ষণ চালু করা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন রাজ্য
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সফল ছাত্রছাত্রীরা। সংরক্ষণের কথা না-জেনেই পড়ুয়ারা ইতিমধ্যে এ বারের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। এর পরে হঠাৎ সংরক্ষণের নিয়ম চালু করলে পদ্ধতিগত ত্রুটি থেকে যাবে বলে শিক্ষা শিবিরের একাংশের মত।
ছাত্রছাত্রীরা দ্রুত সিদ্ধান্ত রূপায়ণ না-চাইলেও আসন্ন শিক্ষাবর্ষে সংরক্ষণ চালু করার দাবি জানিয়ে কমিটির কাছে এ দিনই স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। ‘‘আমরা পড়ুয়াদের কথা আজ শুনেছি। শিক্ষকদের কথাও শুনেছি। এর ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে,’’ বলেন চিরঞ্জীববাবু।