ব্যারাকপুরের গাঁধীঘাটের কাছ থেকে যে দেহটি মিলেছিল, সেটি দীপাঞ্জনার বলেই শনাক্ত করলেন বাবা শ্রুতিধর মুখোপাধ্যায়। সোমবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের মর্গে এসে দেহ দেখে তিনি ডুকরে ওঠেন। দীপাঞ্জনার দেহ বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল। পরনে ছিল ফ্রক। তার মুখটাই ছিল না, মাথার পিছনের অংশে কার্যত খুলি বেরিয়ে এসেছিল। কনুই থেকে ডান হাত ছিল না। পা দু’টি ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। পুলিশ মনে করছে, ব্যাগে ঢোকানোর সুবিধার জন্য মেয়েটির পা দু’টি বেঁধে দিয়েছিলেন সমরেশ।
মর্গ থেকে বাইরে বেরিয়ে শ্রুতিধরবাবু প্রথমে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। পরে কোনও রকমে সামলে নিয়ে বলেন, ‘‘যে দেহটি আমাকে দেখানো হল, সেটি আমার মেয়ে দীপাঞ্জনারই। যে ভাবে মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে, তা নৃশংস বললেও কম বলা হয়।’’
রবিবার রাতে সমরেশকে মর্গে নিয়ে গিয়ে শিশুকন্যার দেহটি দেখান পুলিশ অফিসাররা। মেয়েটির পা তিনি বেঁধে রেখেছিলেন, মর্গে জানান সমরেশ। এ দিন দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ দিকে, বাচ্চাটির দেহের অবস্থা দেখে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, দীপাঞ্জনার মৃত্যু কি দু’দিন আগে হয়েছিল, নাকি তারও আগে? কারণ, যে ভাবে খুলি বেরিয়ে রয়েছে, বিবরণ অনুযায়ী, মাত্র দু’দিন আগে খুন করা হয়েছে কি না তদন্তকারীদের তা ভাবাচ্ছে। পাশাপাশি, মেয়েটিকে যাতে চিনতে না পারা যায়, সে জন্য দেহটি এমন ভাবে বিকৃত করা হয়েছিল কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।