Sujata Mondal Khan

ডিভোর্সের নোটিস পাওয়ার পর সুজাতা এই প্রথম সৌমিত্রর এলাকায়

সুজাতা বলেন, ‘‘আমি না থাকলে সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে জিততে পারতেন না। আমিই প্রচার করে ওকে জিতিয়েছি। আর আমাকেই টিভিতে ডিভোর্স দিল!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খণ্ডঘোষ শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ২১:০১
Share:

খণ্ডঘোষে সুজাতা মণ্ডল খাঁ। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলে যোগদানের পর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-কে ‘অন ক্যামেরা’ ডিভোর্স দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। বিচ্ছেদে সিলমোহর না পড়লেও দু’জনের পথ ও মত আপাতত দু’দিকে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম সেই সৌমিত্রর এলাকায় সভা করলেন সুজাতা। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সভা থেকে বিজেপিকে বিঁধলেন তীব্র আক্রমণে। মূল নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। মুখ খুললেন সৌমিত্রের বিরুদ্ধেও।

Advertisement

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র। খণ্ডঘোষ পূর্ব বর্ধমানে হলেও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভার মধ্যে থাকা সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতেই এগিয়ে ছিলেন সৌমিত্র। একমাত্র এই খণ্ডঘোষ বিধানসভায় ৩০ হাজারের কিছু বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। সেই খণ্ডঘোষের হাটতলায় কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে সোমবার সভা করে তৃণমূল।

এই সভা থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন সুজাতা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-কে একটা ভোটও দেবেন না। তা হলে আমার মতো অবস্থা হবে আপনাদেরও। ঘর ভাঙবে, সংসার ভাঙবে।’’ শুভেন্দুকে নিশানা করে সুজাতার কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি-তে সাবান আছে। সেই সাবান মাখলে চোরও সাধু হয়ে যায়।’’ গত লোকসভা নির্বাচনে নিজের এলাকায় ঢুকতে পারেননি সৌমিত্র। তাঁর হয়ে প্রচার করেছিলেন সুজাতা। খণ্ডঘোষের সভায় সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। সুজাতা বলেন, ‘‘আমি না থাকলে সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে জিততে পারতেন না। আমিই প্রচার করে ওকে জিতিয়েছি। আর আমাকেই টিভিতে ডিভোর্স দিল!’’

Advertisement

আরও পড়ুন: গেরুয়া মিছিল থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ শোভনের, বৈশাখীর মুখে ‘পদ্ম’ স্লোগান

আরও পড়ুন: বঙ্গে ক্ষমতা পেলে কৃষকদের একসঙ্গে ১৬ হাজার টাকা, প্রচারে বিজেপি

ওই সভায় হাজির ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, বিধায়ক নবীন বাগ-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নেতাদের উদ্দেশে কুণালের কটাক্ষ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পচা জিনিস ফেলে দিয়েছেন। আর দিলীপ ঘোষরা বাটি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন