Kalighater Kaku

হাই কোর্টেও জামিন হল না ‘কালীঘাটের কাকু’র, তবে স্ত্রীর শেষকৃত্যের জন্য প্যারোলে মুক্তি

সোমবার রাত ১টায় হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুজয়ের স্ত্রী বাণী ভদ্রের। তার পরেই মঙ্গলবার জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩ ১৬:১৩
Share:

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টে জামিন পেলেন না ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। স্ত্রী বাণী ভদ্রের প্রয়াণের পর জামিনের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। যদিও স্ত্রীর শেষকৃত্যের জন্য তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।

Advertisement

মঙ্গলবার আদালতে সুজয়ের আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, জেল কোড অনুযায়ী আবেদনকারীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যায়। বিচারপতি জানান, জেল কোড অনুযায়ী শ্মশানযাত্রায় যেতে পারেন। তবে সব মিলিয়ে ক’দিন মুক্তি দেওয়া যায়, তা শুক্রবার বিবেচনা করবে আদালত।

সোমবার রাত ১টায় হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুজয়ের স্ত্রী বাণী ভদ্রের। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবার শুনানিতে সুজয়ের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘আমরা অন্তত ১৫ দিনের জন্য জামিন চাইছি। ওঁর (সুজয়) স্ত্রী মারা গিয়েছেন।’’ এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘ সেটা পরে বিবেচনা করব। জেল যদি প্যারোল দেয় আমার আপত্তি নেই।’’

ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ‘‘এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দিলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’ এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘কোর্ট কোনও প্যারোল দিচ্ছে না। জেল যদি প্যারোল দেয় সে ক্ষেত্রে এসকর্ট যাতে দেওয়া হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হবে। শ্মশানযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য জেল কোড অনুযায়ী আজ ছাড়তে পারে।’’ বিচারাধীন বন্দি বা সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের বিশেষ কারণে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। অনেক সময় জেলে ভাল আচরণের জন্যও বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। একে প্যারোল বলে। সামাজিক বা মানবিক কারণে প্যারোলে মুক্তি মিললেও তার সময় কয়েক ঘণ্টাও হতে পারে। আবার কয়েক দিনের জন্যও হতে পারে। ফৌজদারি আইন মোতাবেক অভিযুক্তদের বিধিবদ্ধ ছাড় দেওয়ার সংস্থান রয়েছে জামিনে। অনেক সময়ই অভিযুক্তেরা সহজে জামিন পান না। সে সব ক্ষেত্রেও মানবিক কারণে তাঁদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার সংস্থান রয়েছে।

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৩০ মে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে রয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন সুজয়। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। ২০১৮ সাল থেকে এই দুর্নীতিতে ‘কাকু’ জড়িত বলে দাবি করেছে ইডি। তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন, পার্থের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সুজয়। সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন