কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সুকান্ত মজুমদার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বার বার ‘হেনস্থার’ শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তা-ও আবার পুলিশের হাতেই। এমন অভিযোগ তুলে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ নিয়ে মামলা করার আবেদন জানানো হয়। মামলা দায়েরের অনুমতিও মিলেছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি সুকান্তকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও বজবজে, আবার কখনও খাস কলকাতাতেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। গ্রেফতারও হয়েছেন তিনি। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। বিজেপির অভিযোগ, বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে বার বার পুলিশের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।
বুধবার হাই কোর্টে মামলা দায়েরের সময় বজবজ এবং কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদের সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্তের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, সুকান্তকে বার বার পুলিশি হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে। পুলিশের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে চিঠিও লেখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও জবাব আসেনি। তার পরেই মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় হাই কোর্ট।
গত ১৯ জুন আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মীকে দেখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানে প্রথমে তাঁর কনভয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পর রাস্তায় নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল এবং জুতোও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত এবং বিজেপি নেতৃত্ব। বিষয়টি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুকান্ত।
এ ছাড়াও, কসবার আইন কলেজের ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে গত শনিবার গড়িয়াহাট মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় সুকান্তকে। লালবাজারের লকআপ থেকে সুকান্ত একটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “এক মাসে চার বার আমাকে রাস্তা থেকে পুলিশ তুলে এনে লালবাজারে রাখছে এবং বেল বন্ডে সই করে আমায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ সেই সব ঘটনার কথা উল্লেখ করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করলেন সুকান্ত।