WB Joint Enterence Exam Case

রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

শুক্রবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলপ্রকাশে আপাতত কোনও বাধা রইল না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১১:৩০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

জয়েন্ট এন্ট্রান্স নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই বোর্ডের তরফে জানানো হয়, শুক্রবারই জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করবে তারা। সঙ্গে প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকাও।

Advertisement

গত ৭ অগস্ট রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু অন্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র সংরক্ষণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ধাক্কা খায় জয়েন্টের ফলপ্রকাশ। ইতিমধ্যে তৈরি হওয়া মেধাতালিকা বাতিল করে নতুন করে মেধাতালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের একক বেঞ্চ। তাঁর নির্দেশ, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায়ের তালিকার ভিত্তিতেই নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে আদালতের এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বোর্ডকে। বিচারপতি চন্দের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাই কোর্টের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের সওয়াল, ‘‘অবিশ্বাসযোগ্য! স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।’’ রাজ্যের আইনজীবীদের প্রশ্ন ছিল, ‘‘কী ভাবে এটা করা যায়?’’

বস্তুত, সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে। সেই মামলার সঙ্গেই জয়েন্টের ফলপ্রকাশ সংক্রান্ত মামলাটি জুড়ে ছিল। তবে রাজ্যের তরফে জয়েন্টের ফলসংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জয়েন্টের ফলপ্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হয়। সেই শুনানিতেই হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

জয়েন্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি চন্দ জানিয়েছিলেন, ওবিসি পড়ুয়াদের জন্য পূর্বের মতো ৭ শতাংশ সংরক্ষণই বরাদ্দ থাকবে। তা ছাড়া, নতুন ওবিসি তালিকা মেনে মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে না। তালিকা প্রকাশ করলে তা করতে হবে পুরনো বিধি মেনে। অর্থাৎ, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায়ের তালিকার ভিত্তিতেই নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement