বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মালদহের কালিয়াচক থেকে আটক এক যুবককে খাগড়াগড়-কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বৃহস্পতিবার রাতে বালিয়াডাঙার আনসারিপাড়া থেকে ওই যুবককে পুলিশ আটক করে। শুক্রবার এনআইএ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে ওই যুবক দাবি করেছেন, তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়।
কেন ওই যুবক মালদহে এসেছিলেন, তা গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।
খাগড়াগড়-কাণ্ডে ধৃতদের মধ্যে মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকার বাসিন্দা, পেশায় হাইস্কুলশিক্ষক জিয়া-উল হক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছে এনআইএ। বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক লাগোয়া থানা। ফলে, কোনও সম্ভাবনাই খারিজ করা হচ্ছে না।
বালিয়াডাঙার আনসারিপাড়া থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত বড়জোর ১৫ কিলোমিটার দূরে। আনসারিপাড়ার বাসিন্দা দিনমজুর মহিবর রহমানকে গত ২ এপ্রিল দফায় দফায় জেরা করেন এনআইএ-র অফিসারেরা। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় তাঁরা জানতে পারেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি বহিরাগত কয়েকজনকে মাঝেমধ্যেই গ্রামে নিয়ে আসে। অনেক সময়ে মজিবরের বাড়িতেও এনে তোলে। বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে মজিবরের বাড়ি থেকে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই যুবক প্রাথমিক ভাবে দাবি করেছেন, কাজের সূত্রে তিনি ভগবানগোলা থেকে কালিয়াচকে এসেছেন। তবে এনআইএ সূত্রের খবর, ওই দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না। যার সূত্রে ওই যুবক কালিয়াচকে এসেছেন, তারও খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা।