Mamata-Suvendu

ধর্মতলায় মমতার হুঁশিয়ারির পরেই শুভেন্দুর অভিযানে নজর তৃণমূলের! বিজেপির মিছিল ‘কৌশলে’ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত

আগামী ৫ অগস্ট, অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার কোচবিহার যাবেন শুভেন্দু। স্থির হয়েছে, দলের সকল বিধায়কদের নিয়ে মিছিল করে কোচবিহারের পুলিশ সুপারের দফতরে যাবেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৫ ১৮:০২
Share:

(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

গত ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশের দিনেই শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযান করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়ে ধর্মতলার মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এর পর বিজেপির যে কোনও কর্মসূচির দিন তৃণমূলও পাল্টা কর্মসূচি নেবে। দলনেত্রীর সেই হুঁশিয়ারি মেনেই কৌশলে কোচবিহারে শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়কদের মিছিল ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।

Advertisement

৫ অগস্ট, অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার কোচবিহার যাবেন শুভেন্দু। স্থির হয়েছে, দলের সকল বিধায়কদের নিয়ে মিছিল করে কোচবিহারের পুলিশ সুপারের দফতরে যাবেন তিনি। ঘটনাচক্রে, এই কর্মসূচির ঘোষণাও সেই উত্তরকন্যা অভিযানের সময়ে করেছিলেন শুভেন্দু।

এ বার তৃণমূলও সেই মঙ্গলবারেই পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা করল। দলীয় সিদ্ধান্ত, কোচবিহারের ১৯টি জায়গায় সমাবেশ হবে। ঘটনাচক্রে, শুভেন্দু-সহ বাকি বিজেপি বিধায়কেরা এবং দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা যে সব রাস্তা দিয়ে কোচবিহারে প্রবেশ করবেন, সেই সব রাস্তার মুখে তৃণমূলের সমাবেশ হওয়ার কথা। এর জন্য পুলিশ সুপারের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

অনেকের মতে, শাসকদল কৌশলে এমন ভাবে কর্মসূচি নিয়েছে, যাতে পদ্মের মিছিল ঘিরে ফেলা যায়। এতে অশান্তি ছড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও পুলিশ শাসকদলের কর্মসূচিতে অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

যদিও শাসকদলের বক্তব্য, পুলিশ অনুমতি না-দেওয়ায় শুভেন্দু যে ভাবে কলকাতা হাই কোর্টে গিয়ে অনুমতি নিয়ে এসেছেন, সে ভাবে তারাও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে সে ক্ষেত্রে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘২১ জুলাই শহিদ দিবসের দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উত্তরকন্যা অভিযান করেছেন। যাতে ওঁর দিকে সংবাদমাধ্যমের নজর থাকে। তাই আমরাও আগামী ৫ অগস্ট জেলার ১৯টি জায়গায় সমাবেশ করবে। যদি ওরা কর্মসূচির দিন বদলায়, আমরাও দিন বদলাব।’’

বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘তৃণমূলের জেলা সভাপতি যা বলেছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহারে আসছেন এসপি-র সঙ্গে দেখা করতে। কোচবিহার জুড়ে তৃণমূলের যে সন্ত্রাস চলছে, সেই বিষয়ে অবগত করতে। কিন্তু তৃণমূল পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। এই অবস্থায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটতে পারে। কোথাও যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তা হলে এর দায় তৃণমূলকেই নিতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement