‘মন্ত্রী কথা রাখেননি, ফোন করব দিদিকে’

কী প্রতিশ্রুতি? বাসনা জানালেন, মেয়ে সোনা জেতার পরে বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিজয়চন্দ্র বর্মণ, যিনি এখন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৪৬
Share:

মমতা অভিযোগ ওড়াল সিবিডিটি।—ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী ভাল, কিন্তু তাঁর নেতা-মন্ত্রীরা কথা রাখেন না— এমনই অভিযোগ শোনা গেল এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মণের মা বাসনার গলায়। তিনি এই কথা জানাতে চান খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই। তাই ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করবেন, জানালেন বাসনা। ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে স্বপ্নার গলাতেও। এ দিন স্বপ্না ফোনে বলেন, “আমার সোনা জয়ের পর অনেকেই অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সবাই সব কথা রাখতে পারেননি। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে তা রক্ষা করতে হয়। মা ঠিকই বলেছেন।’’ নিজেদের বিড়ম্বনা বোঝাতে তিনি বলেন, ‘‘আত্মীয়স্বজনেরা এখন এই সব নিয়ে আমাদের কটাক্ষ করছেন।”

Advertisement

কী প্রতিশ্রুতি? বাসনা জানালেন, মেয়ে সোনা জেতার পরে বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিজয়চন্দ্র বর্মণ, যিনি এখন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান। ছোট ছেলেকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। কোনওটাই পূরণ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। বাসনা বলেন, ‘‘এত দিন তো কোথাও অভিযোগ বা ক্ষোভ জানানোর সুযোগ ছিল না। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার নম্বর পেয়েছি। সেখানেই ফোন করব বলে ঠিক করেছি।’’ বাসনার কথায়, ‘‘১৩ মাস কেটে গেল, ওঁরা কথা রাখেননি। আজও চাকরি পায়নি ছোটছেলে।’’

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাসনাদের কোনও ক্ষোভ নেই। তিনি জানান, স্বপ্নার বড় দাদার চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীই। স্বপ্নার জন্য একটি ফ্ল্যাট ও ১০ লক্ষ টাকা সাহায্যও দিয়েছিলেন। বাসনার কথায়, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ওঁর নেতা-মন্ত্রীরা তো নিজে থেকেই ওঁরাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেগুলি কিছুই হয়নি। সে সব কথাই দিদিকে বলব।’’

Advertisement

বিজয়চন্দ্র বর্মণের মন্তব্য, ‘‘এ সব নিয়ে কথা বলতে চাই না।’’ পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বপ্নার দাদার চাকরির ব্যবস্থা আমার দফতরেই করে দিয়েছি। জলপাইগুড়িতে পোস্টিং চাওয়া হয়েছিল। সেটাও করে

দেওয়া হয়েছে। আমি ওঁর ছোট ভাইকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিইনি।’’ স্বপ্না খুবই ভাল মেয়ে বলে মন্তব্য করে পর্যটনমন্ত্রীর সংযোজন, “জমির বিষয়ে স্বপ্না অনুরোধ করেছিল। পুরমন্ত্রীর সঙ্গে তা নিয়ে কথা বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন