অমিত মিত্র। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে লগ্নির পথে ‘সিন্ডিকেট’-এর বাধা নিয়ে এ বার প্রবীণ শিল্পপতি এস কে বিড়লার প্রশ্নের মুখে পড়লেন শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বিড়লার আশঙ্কাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ শিল্পমন্ত্রী। অমিতের দাবি, আগের আমলে
কর্মসংস্থানের অভাবের জন্য এই সমস্যা তৈরি হলেও এখন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, এ ধরনের ঘটনা রুখতে শুধু প্রশাসনই ব্যবস্থা নেয় তা নয়, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ব্যক্তিগত ভাবে হস্তক্ষেপ করেন।
ভারতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়ে বণিকসভা ফিকির সভায় মঙ্গলবার অমিতবাবুর পাশাপাশি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া-র চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যে সিন্ডিকেটের সমস্যার প্রসঙ্গ তোলেন প্রবীণ শিল্পপতি এস কে বিড়লা। তাঁর বক্তব্য, এটি একটি বড় সমস্যা। এর ফলে লগ্নিকারীদের মনে একটা ভীতির সঞ্চার হয়।
সিন্ডিকেট রাজ, তোলাবাজি ইত্যাদি নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের ছোট-বড় বিভিন্ন লগ্নি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ। অভিযোগের তির মূলত শাসক দলের অনুগামীদের বিরুদ্ধেই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও বারবার এ নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। গোলমাল হলে প্রয়োজনে লগ্নিকারীদের সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার
পরামর্শও দিয়েছেন।
এ দিন সেই আশ্বাসবার্তা শুনিয়েছেন শিল্পমন্ত্রীও। তবে তাঁর বক্তব্য, এটা একটা বৃহত্তর সামাজিক সমস্যা। বেকারত্ব থেকেই এ সবের সূত্রপাত। এ রাজ্যে তার দায় তিনি চাপিয়েছেন বাম আমলের উপরেই। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন রাজ্যে এক কোটি বেকার ছিলেন। গত কয়েক বছরে
কর্মসংস্থান বেড়েছে। নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আগে যাঁরা সমস্যা তৈরি করতেন, এখন তাঁরাই নতুন কাজ চাইছেন। এটা কোনও ম্যাজিক নয়। এটা একটা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। ওঁদের মূল স্রোতে আনতে কাজ চাই। এক দিনে
হবে না।’’
সেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অবশ্য এ ধরনের ঘটনা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন অমিতবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কাজের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শুধু প্রশাসনই নয়, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সক্রিয় ভূমিকা নেন।’’