SSC Recruitment Case

কেন আমরা দাগি? কে ঠিক করে দিল? কমিশন তালিকা প্রকাশ করার পরেও পরীক্ষায় বসতে চেয়ে হাই কোর্টে ‘অযোগ্য’রা

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা নিতে হবে এসএসসি-কে। এক জন ‘দাগি অযোগ্য’ও যেন সেই পরীক্ষায় না-বসেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর পর কমিশন ‘দাগি’দের তালিকা প্রকাশ করে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২৯
Share:

কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ এসএসসি-র ‘দাগি অযোগ্য’রা। —ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রকাশ করেছে ‘দাগি অযোগ্য’ চাকরিপ্রাপকদের নাম। এ বার তাঁরাই কমিশনের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। আদালতে পরীক্ষায় বসার আবেদন জানিয়েছেন ‘দাগি অযোগ্য’রা। সোমবার এ বিষয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

Advertisement

গত ২৯ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা নিতে হবে এসএসসি-কে। এক জন ‘দাগি অযোগ্য’ও যেন সেই পরীক্ষায় না-বসেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই গত শনিবার কমিশন তালিকা প্রকাশ করে। তাতে ‘দাগি’ হিসাবে ছিল ১৮০৪ জনের নাম। পরে রবিবার আরও দু’জনের নাম সেই তালিকায় জুড়ে দেওয়া হয়। ফলে এসএসসি-র তালিকায় বর্তমানে ‘দাগি’ ১৮০৬ জন। তাঁদেরই একাংশ সোমবার আদালতে গিয়েছেন।

মামলাকারীদের বক্তব্য, তাঁরা যে ‘দাগি’, তা কে ঠিক করে দিল? কিসের ভিত্তিতে তাঁদের ‘দাগি’ বলা হচ্ছে? কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’দের নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তাতে সুপ্রিম কোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। তবু কেন ‘যোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করা হল না? কেন শুধু ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকাই প্রকাশিত হল? প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী। কিছু দিন আগে এসএসসি-র পরীক্ষায় বসার জন্য এই ১৮০৬ জনও ফর্ম জমা দিয়েছিল। কেন তখন তাঁদের আটকানো হয়নি? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কিছু নথি, উত্তরপত্র সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। তার ভিত্তিতে কয়েক জনকে ‘দাগি’ হিসাবে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাতে বলা হয়, এই ‘দাগি’ বা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’রা কোনও ভাবেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। তাঁদের এত দিনের চাকরির বেতনও ফেরত দিতে হবে। এর পর নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে কমিশন। আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি-র নিয়োগের পরীক্ষা রয়েছে। তাতে বসতে চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করলেন ‘দাগি’রা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement