Dearness allowance

Dearness Allowance: বর্ধিত ডিএ অমিল, সঙ্কটে বহু শিক্ষক

রাজ্যে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুল ছাড়াও এমন বেশ কিছু স্কুল আছে, যাদের বলা হয় ‘ডিএ গেটিং স্কুল’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:১৪
Share:

ফাইল চিত্র।

অবসরজীবনে তাঁদের ভরসা বলতে শুধু সরকারের কাছ থেকে পাওয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)। কিন্তু সেই ‘ডিএ গেটিং স্কুল’-এর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বর্ধিত হারে ডিএ পাচ্ছেন না। মহাসমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

Advertisement

অবসরপ্রাপ্ত ওই সব শিক্ষক-শিক্ষিকার অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া বর্ধিত ডিএ পাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি, ‘বেসিক’ বা মূল বেতনের ১২৫ শতাংশ ডিএ পাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা সেখানে পাচ্ছেন মাত্র ৭৫ শতাংশ। পাওনা আদায়ে তাঁরা অনেক বার বিকাশ ভবনে দরবার করেছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ।

রাজ্যে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুল ছাড়াও এমন বেশ কিছু স্কুল আছে, যাদের বলা হয় ‘ডিএ গেটিং স্কুল’। ওই সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শুধু ডিএ দেয় সরকার। এই ধরনের একটি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা জানান, রাজ্য জুড়ে ডিএ গেটিং স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা কমবেশি পাঁচশো। কিন্তু তাঁদের কেউই বর্ধিত হারে ডিএ পাচ্ছেন না। উত্তর কলকাতার একটি ডিএ গেটিং স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকা বলেন, “এমনিতেই আমাদের পেনশন সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে অনেক কম। অবসরের সময় যে-বেতন পেতাম, তার বেসিকের এক-চতুর্থাংশ পেনশন হিসেবে পাই। নিয়ম অনুসারে সরকার যখন যেমন ডিএ বাড়াবে, সেই বর্ধিত হারে আমরাও ডিএ পাব। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে বর্ধিত হারে ডিএ পাচ্ছি না।”

Advertisement

ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ জানান, বর্ধিত ডিএ-র জন্য আবেদন-নিবেদন করতে করোনার মধ্যেও তাঁরা অনেক বার বিকাশ ভবনে গিয়েছেন। বর্ধিত ডিএ তাঁদের কত হবে, সেই হিসেবও তাঁরা বিকাশ ভবনের কর্তাদের দিয়ে এসেছেন। কিন্তু প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস মিললেও সুরাহা হয়নি।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, “এমনিতেই ডিএ গেটিং স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা কম বেতন পান। তার উপরে বর্ধিত হারে ডিএ না-পাওয়ায় প্রবীণ মানুষগুলি খুবই সমস্যায় পড়েছেন।”

কবে মিলতে পারে বকয়া ডিএ? বিকাশ ভবনের এক কর্তা বলেন, “আমাদের অফিস থেকে ফাইল নবান্নের অর্থ দফতরে গিয়েছে। অর্থ দফতর মঞ্জুর করলে তবেই ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাপ্য পাবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন