প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের চেষ্টা করায় আত্মঘাতী হল জলপাইগুড়ির এক কিশোরী ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এক যুবক নিয়মিত ভাবে উত্যক্ত করত তাঁকে। সে জন্য লজ্জায়, অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে সে। এ নিয়ে পুলিশে এফআইআরও করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল?
কোতোয়ালি থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোমস্তপাড়ার বাসিন্দা বছর ষোলোর ওই কিশোরীর পরিবার অভিযোগ করে জানিয়েছে, মাসখানেক ধরেই নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করত রাহুল সরকার নামে স্থানীয় এক যুবক। স্কুলে যাতায়াতের পথে কুপ্রস্তাবও দিত। বুধবার সকালে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের অন্তর্গত সাইকেল নিতে স্কুলে যায় সে। সে সময়ই তাঁকে ফের কুপ্রস্তাব দেয় সে। তাতে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে রাহুল। ঘটনার পর বাড়ি ফিরে কাঁদতে কাঁদতে গোটা ঘটনাটা জানায় । ওই ছাত্রীর জ্যাঠা শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, গত কাল দুপুর ২টো-আড়াইটে নাগাদ বাড়িতে কেউ ছিল না। সে সময় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে।
আরও পড়ুন
বিসর্জন বিতর্ক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, বললেন মমতা
সরকারি নিরাপত্তা ছাড়লেন মুকুল
পুলিশের কাছে ছাত্রীর পরিবার। —নিজস্ব চিত্র।
শ্যামলবাবুর দাবি, রাহুল যে তাঁদের ঘরের মেয়েকে উত্যক্ত করছে গৃহশিক্ষক চন্দন আনসারি তা আগেই জানিয়েছিলেন। সেই মতো রাহুলকে সতর্কও করা হয়। তবে তাতেও কোনও কাজ হয়নি।
এফআইআর-এর প্রতিলিপি। সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন।
ঘটনার পর গত রাতেই কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল থেকেই গা-ঢাকা দেয় রাহুল। তার খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে মাটিগাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাহুলকে। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মিলে এলাকায় মেয়েদের রাহুল প্রায়শই উত্যক্ত করত বলে দাবি পুলিশের। যদিও পুলিশের কাছে রাহুলের দাবি তিন মাস ধরেই ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। বাড়িতে বাবা- মা বকাবকি করাতেই আত্মহত্যা করেছে সে।