TMC MLA

বিধায়কের দেখা নেই এলাকায়! ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও নিষ্ক্রিয়, ক্ষুব্ধ মমতা

বৃহস্পতিবার মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আব্দুল গনি। সুজাপুরের বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি, তিনি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাঁর কোনও কাজেই খুশি নন মমতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১৬:৫৯
Share:

বিধায়কের কাজে খুশি নন মমতা। — ফাইল চিত্র।

সুজাপুরের বিধায়ক তথা প্রাক্তন বিচারপতি আব্দুল গনির কাজে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়ক। সুজাপুরের বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি, তিনি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানও। প্রশাসনিক বৈঠকে বার বার ঘুরেফিরে এল বিধায়ক গনির প্রসঙ্গ।

Advertisement

কখনও বা তাঁর দায়িত্বে থাকা ওয়াকফ বোর্ডের কাজকর্ম নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও আবার বিধায়ক হিসেবে সুজাপুরে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ বোর্ডের কাজ একেবারে ভাল হচ্ছে না। অনেক কাজকর্ম আটকে রয়েছে।’’ তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ থেকে আমি এই কাজের দায়িত্ব ওয়াকফ বোর্ডের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের দিলাম। তাঁরা এই বিষয়ে যাবতীয় কাজকর্ম করবেন।’’ তবে আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু এনক্রোচমেন্টের বিষয় রয়েছে। আমি কিন্তু যে কোনও ধরনের এনক্রোচমেন্টের বিরুদ্ধে। তাই ওয়াকফ বোর্ডের কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি যেন মাথায় রাখা হয়।’’

ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ছাড়াও, বিধায়ক হিসাবে যে প্রাক্তন বিচারপতির কাজে তিনি খুশি নন, তা-ও গোপন করেননি মমতা। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন সেচ প্রতিমন্ত্রী তথা মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁকেই তিনি গনি সাহেবের বিধানসভা কেন্দ্র সুজাপুরের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থেকে সরিয়ে সুজাপুরে এনে প্রার্থী করা হয়ে আব্দুল গনিকে। প্রয়াত রেলমন্ত্রী বরকত গনিখান চৌধুরীর গড় সুজাপুরে কংগ্রেস প্রার্থী তথা তাঁর ভাইপো ইশা খান চৌধুরীকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়ী হন গনি। কিন্তু তার পর থেকেই এলাকায় তাঁকে দেখা যায় না বলে অভিযোগ। তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘অসুস্থ থাকায় গনি সাহেব আসতে পারছেন না। তাই ওই এলাকার দেখভাল করবে সাবিনা।’’

এ বছর পঞ্চায়েত এবং আগামী বছর লোকসভা ভোট। বিধায়কের নিষ্ক্রিয় থাকার প্রভাব ভোট ব্যাঙ্কে পড়তে পারে। তাই এখন থেকেই বিধায়কের দায়িত্ব অন্যের হাতে দিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে আনার চেষ্টা করেছেন মমতা। এমনটাই মত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন