Bengal SSC Recruitment Case

মঙ্গলবার অবসর, প্রধান বিচারপতি খন্না না-ও শুনতে পারেন ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আর্জি

রায় ঘোষণার এক মাসের মাথায় গত ৩ মে রাজ্য এবং এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। সেই আবেদন এখনও গৃহীত হয়নি। অনেকে মনে করছেন, কর্মজীবনের শেষ দিনে রিভিউ পিটিশন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না-ও নিতে পারেন প্রধান বিচারপতি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৫ ১৫:০৮
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার (আদতে ২৫ হাজার ৭৩৫) চাকরি বাতিল নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন না-ও শুনতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। মঙ্গলবার তিনি অবসর নেবেন। সব ঠিকঠাক থাকলে সে দিন বর্তমান প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আর ওই মামলা উঠছে না। চাকরি বাতিল নিয়ে রাজ্য এবং এসএসসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ পিটিশন) নতুন বিচারপতি শুনবেন। যদিও কোন বেঞ্চে শুনানি হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।

Advertisement

এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ এসএসসির নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি খন্নার বেঞ্চ চাকরি বাতিল নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি। শীর্ষ আদালতের ওই রায়ে অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য সরকার। তারা রিভিউ পিটিশন করবে বলেও জানায়। রায় ঘোষণার এক মাসের মাথায় গত ৩ মে রাজ্য এবং এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। সেই আবেদন এখনও গৃহীত হয়নি। এই অবস্থায় বর্তমান প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে রাজ্যের আর্জির শুনানি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। মঙ্গলবার তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিন। হাতে মাত্র আর একটি দিন। অনেকে মনে করছেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত প্রধান বিচারপতি নেবেন, এমনটা মনে হচ্ছে না।

রিভিউ পিটিশন শুনানির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে কেউ আর্জি জানালে প্রথমে তা সংশ্লিষ্ট বিচারপতির চেম্বারে যায়। সেখানে বিচারপতি বা বিচারপতিরা সিদ্ধান্ত নেন মামলাটি গ্রহণ করা হবে কি না। প্রয়োজনে বিচারপতির চেম্বারে তা নিয়ে শুনানিও করা হয়। সেখানে মামলা গ্রহণ করা হলে তা কোর্টে পাঠানো হয় শুনানির জন্য। এসএসসি মামলার ক্ষেত্রে সাত দিন পেরিয়ে গেলেও মামলাটি এখনও চেম্বারেই যায়নি। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘এর আগে রাজ্য তথা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রায়ে সাময়িক স্বস্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। তাদের আর্জি মেনে নেয় আদালত। শিক্ষকদের চাকরি ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে। এ বার রাজ্য রিভিউ পিটিশন করেছে। অর্থাৎ, এখন রাজ্য ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। মনে হচ্ছে, চেম্বারেই রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যাবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement