মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এ বছর দুর্গাপুজোর দশমীর পরদিনই ছিল মহরম। রাজ্য জুড়ে পিঠোপিঠি দুই অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নেই মিটেছে। সে জন্য রাজ্যবাসীকেই ধন্যবাদ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহরম কমিটিগুলোর সঙ্গে পুজো কমিটিগুলোর ঝগড়া লাগিয়ে দেওয়ার অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। আমি কৃতজ্ঞ বাংলার মানুষ এই চক্রান্তে পা দেননি। আপনারা আছেন বলেই বাংলার এই শক্তি নিয়ে সারা পৃথিবীতে চর্চা হয়।”
এ দিন বিকেলে পুলিশের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে। গোড়াতেই মমতা বলেন, “মহরম আর পুজো একসাথে ছিল। এটা ২৫ বছর বাদে পড়ে। বাংলার মানুষ পুজো-মহরম একসাথে খুব ভাল ভাবে পালন করেছেন। কোনও ঘটনা ঘটেনি। এর কৃতিত্ব সকলের।”
বিজেপি-র নাম করেননি মমতা। তবে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি এখনও চ্যালেঞ্জ করে বলি, গণপতি বিসর্জন আর মহরম দু’টো একসাথে করে দেখাতে পারবেন না বন্ধু। বিহারে মহরমের দিন বিসর্জন বন্ধ ছিল, উত্তরপ্রদেশে ছিল, বাংলাদেশে ছিল।’’ সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘এখানে কোর্টে যাওয়া হয়েছে। কোর্টের নির্দেশ আমরা মেনেছি। তবে মনে রাখবেন, মানুষ যেটা মানে, সেটা সবচেয়ে বড় বিচার। বাংলার মানুষ ধৈর্য দেখিয়েছেন। বাংলা যা পারে তা অন্য কেউ পারে না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে বিসর্জনের কার্নিভাল প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “দুর্গাপুজোর কার্নিভাল গত দু’বছর ধরে করছি। এটা কলকাতায় হয়। এ বার আমরা জেলায় জেলায় কার্নিভাল করব। একসঙ্গে ৫০টি পুজো কমিটি বিসর্জন দিতে যাচ্ছে এটা দেখতে খুব ভাল লাগে।”
বিজয়া সম্মিলনীতে পুজো কমিটি, মহরম কমিটির সদস্যরা যোগ দেন। ছিল মিষ্টিমুখের আয়োজনও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা মিষ্টিমুখ করে যাবেন। ভারতী (পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ) ব্যবস্থা করেছে।” মুখ্যমন্ত্রীকে গাইতেও শোনা যায়, ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও।’