Rujira Banerjee

সরকারকে দেওয়া তথ্যে অসঙ্গতি, অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

নোটিসে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, নিজের তাইল্যান্ডের নাগরিক পরিচয় গোপন করে তিনি ২০০৯ সালের ১৪ নভেম্বর তিনি প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করেন। সেখানেও তিনি বাবার নাম দিয়েছিলেন গুরশরণ সিংহ আহুজা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:৫২
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে পাঠানো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নোটিস।

সরকারকে দেওয়া তথ্যে অসঙ্গতি থাকার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কারণ দর্শাতে বলে নোটিস পাঠানো হল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে। ২৯ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপসচিব মনোজ কুমার ঝা রুজিরা নারুলার কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ঠিকানায় ওই নোটিস পাঠিয়েছেন।

Advertisement

ওই নোটিসে জানানো হয়েছে, ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি ব্যঙ্ককের ভারতীয় দূতাবাস রুজিরা নারুলাকে পারসন অব ইন্ডিয়ান অরিজিন (পিআইও) কার্ড দেয়। ওই কার্ডের জন্য রুজিরার করা সেই আবেদনে তাঁর বাবার নাম দেওয়া ছিল নিফন নারুলা। কিন্তু মনোজ কুমার ঝায়ের ওই নোটিস অনুযায়ী, ২০১৭ সালে রুজিরা কলকাতার এফআরআরও অফিসে পিআইও কার্ড পরিবর্তন করে ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (ওসিআই) স্ট্যাটাসের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। সেখানে তিনি আবেদনের স্বপক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী তাঁর বিয়ের রেজিস্ট্রেশন (নথিভুক্তিকরণ)-র নথি জমা দেন। ওই নোটিস অনুযায়ী, সেই নথিতে রুজিরার বাবার নাম গুরশরণ সিংহ আহুজা, ঠিকানা দিল্লির রাজৌরি গার্ডেনের।

আরও পড়ুন: রাত পোহালেই শিলিগুড়ি হয়ে ব্রিগেডে মোদী, দিনহাটায় মমতা, দুই প্রধানের সভা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

Advertisement

এই সেই নোটিস।

নোটিসে আরও বলা হয়েছে যে, নিজের তাইল্যান্ডের নাগরিকত্বের পরিচয় গোপন করে রুজিরা ২০০৯ সালের ১৪ নভেম্বর প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করেন। সেখানেও তিনি বাবার নাম দিয়েছিলেন গুরশরণ সিংহ আহুজা বলে ওই নোটিসে লেখা হয়েছে।

মনোজ ঝা অভিযোগ করেছেন, নিয়ম অনুযায়ী তাইল্যান্ডের নাগরিক হিসাবে প্যান কার্ডের জন্য ৪৯এএ ফর্মে আবেদন করার কথা। কিন্তু রুজিরা সেই নিয়ম না মেনে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে ৪৯এ ফর্মে আবেদন করেছেন। এটাকেও তথ্য গোপন হিসাবে দেখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভারতীয় নাগরিক হিসাবে প্যান কার্ড পেয়ে যান রুজিরা। মনোজ ঝা তাঁর পাঠানো নোটিসে জানিয়েছেন, রুজিরার দেওয়া ভুল তথ্য এবং তথ্য গোপন করার জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন(১৯৫৫)-এর ৭ ডি ধারায় এ এবং ই উপধারায় তাঁর সমস্ত নথি বাতিল করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নোটিসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ।

উপসচিব জানিয়েছেন, রুজিরাকে নোটিস ইস্যু করার ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে, তা না হলে ভারত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিমানবন্দরে সোনা-কাণ্ডের পর এ বার ভারত সরকারকে রুজিরার দেওয়া বিভিন্ন তথ্য নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। তবে গোটা বিষয় নিয়ে রুজিরার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন