West Bengal News

তানজানিয়ায় জেলবন্দি বাঙালিদের এক সপ্তাহের মধ্যেই মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা

সংস্থার চেয়ারম্যান জিন্নার আলি বলেন,“আমরা ইতিমধ্যেই তানজানিয়ার মুদ্রাতে ৫০ লাখ টাকা সেখানকার বিচারবিভাগকে জরিমানা দিয়েছি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:২৯
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

এক সপ্তাহের মধ্যেই মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তানজানিয়ায় জেলবন্দি ১৩ ভারতীয়ের। এঁদের মধ্যে আটজনই নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা। বাকিরা বিহার এবং মুম্বইয়ের।

Advertisement

ন্যাশনাল অ্যান্টি-ট্রাফিকিং কমিটি নামে যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ মাসের গোড়াতেই মালয়েশিয়াতে আটকে পড়া ভারতীয় শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনেছিল, সেই সংস্থাই চেষ্টা চালাচ্ছে এঁদের জেলমুক্ত করার।

সংস্থার চেয়ারম্যান জিন্নার আলি বলেন,“আমরা ইতিমধ্যেই তানজানিয়ার মুদ্রাতে ৫০ লাখ টাকা সেখানকার বিচারবিভাগকে জরিমানা দিয়েছি।”

Advertisement

অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে নদিয়ার আটজনকে তানজানিয়ার দার এস সালামের বিমানবন্দরে নামার পরই গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ। কারণ যে নথির উপর ভিত্তি করেএঁদের ভিসা দেওয়া হয়েছিল, সেই নথি জাল ছিল। জিন্নার বলেন,“আমরা জেলবন্দি শ্রমিকদের পরিবারের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরেই বিদেশ মন্ত্রক এবং সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করি।” যোগাযোগ করে জানা যায় সেখানকার আদালত ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে, সঙ্গে জরিমানা।

আরও পডু়ন: গর্ভে সন্তান, স্বামী বন্দি সুদূর তানজানিয়ায়, হাঁড়ি চড়ছে না নীপার সংসারে

সূত্রের খবর, জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার পাশাপাশি আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। জিন্নারদের উদ্যোগে ধৃত নদিয়ার দালাল শ্রীমন্তকে জেরা করে পুলিশ এই চক্রের আরও অনেকের হদিশ পেয়েছে। সেই সূত্র ধরেই জানা যায় তানজানিয়ায় এই চক্রের অন্যতম মাথা যোসেফ। জিন্নার বলেন, “আমাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে যোসেফকে গ্রেফতার করেছে সেখানকার পুলিশ। জানা গিয়েছে জাল নথি সে-ই তৈরি করে দিয়েছিল। এই শ্রমিকরা নির্দোষ।” সেখান থেকেই আশার আলো তৈরি হয়েছে, যে কয়েক দিনের মধ্যেই বন্দি ভারতীয়দের মুক্ত করা যাবে। তানজানিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু চুক্তি থাকায় ভারতীয়রা অন্য বিদেশিদের থেকে কিছু বেশি সুবিধা পান। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েই এঁদের মুক্তির ব্যবস্থা করা যাবে, এমনটাই মনে করছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তারা।

আরও পডু়ন: ‘নিয়ম ভেঙে’ চাকরিতে ঢুকেই গেলেন পরেশের মেয়ে!

তবে মুক্তি পাওয়ার পর এঁরা ফিরে এলে কী করবেন, তা নিয়েও সংশয়ে এঁদের পরিবার। কারণ প্রত্যেকেই চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে দালালকে দিয়েছিল তানজানিয়ার চাকরি পেতে। তানজানিয়ায় আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারগুলি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে সেই টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন