নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে জড়াতে মামলার ছক ফের

আগে বেশ কয়েক বারের চেষ্টা ব্যর্থ। তা সত্ত্বেও নতুন মামলায় নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে জড়াতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্যের পুলিশ। এবং সে ক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলাই।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৪
Share:

আগে বেশ কয়েক বারের চেষ্টা ব্যর্থ। তা সত্ত্বেও নতুন মামলায় নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে জড়াতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্যের পুলিশ। এবং সে ক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলাই।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা ‘অ্যালকেমিস্ট’-এর টাকা দিয়ে নারদ নিউজের স্টিং অপারেশন চালানো হয়েছিল বলে ম্যাথু নিজেই দাবি করেছেন। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে সে কথা জেনেছে। সম্প্রতি বৌবাজার থানায় ওই অর্থলগ্নি সংস্থার মালিক কেডি সিংহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। কেডি আবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। পুলিশের একাংশ মনে করছে, ওই মামলা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করলে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে টেনে আনা যাবে ম্যাথুকেও।

আরও পড়ুন: সুদীপ নিয়ে চিন্তা মমতার, নেই তাপসের নাম

Advertisement

লালবাজারের এক গোয়েন্দা কর্তার যুক্তি, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার টাকা দিয়ে কোনও কাজ করার অর্থ— অভিযুক্ত সংস্থার অপরাধেরই ভাগীদার হওয়া। তাই এ ক্ষেত্রে ম্যাথুকে তলব করা বেআইনি হবে না। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বৌবাজার থানায় অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে জনা সত্তর আমানতকারী প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করে লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর হাতে তার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। ওই গোয়েন্দা কর্তার কথায়, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে নারদ তদন্ত বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এ বার অর্থলগ্নি মামলায় ম্যাথুকে ডেকে পাঠাতে পারি আমরা।’’

যদিও পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, বৌবাজার থানার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কেডি এবং তাঁর সংস্থার অন্য দুই ডিরেক্টর। সেখানে সরাসরি ম্যাথুর নাম নেই। বৃহস্পতিবার লালবাজারের আর এক কর্তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, সিবিআই চাইলে এই মামলা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। লালবাজার সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক পরে জোড়াসাঁকো-সহ শহরের তিনটি থানায় কেডি এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কেডি-র বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগের তদন্তভার রয়েছে সিআইডি-র হাতেও। কিন্তু তদন্ত তেমন এগোয়নি। পুলিশের একাংশের দাবি, শাসক দলের সাংসদের বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ ঠান্ডা ঘরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন শীর্ষ কর্তারাই। কিন্তু এখন কেডি-র বিরুদ্ধে মামলায় উৎসাহ দেখাচ্ছে উপরমহল। এবং এই মামলার আসল উদ্দেশ্য যে ম্যাথুকে প্যাঁচে ফেলা, সে বিষয়েও এক রকম নিশ্চিত পুলিশের এই অংশটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন