—ফাইল চিত্র।
দু’পক্ষের বোমা-গুলির লড়াই, দোকান-বাজারে অগ্নিসংযোগ, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের মতো ঘটনা থামেনি। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও বুধবার বিকেলের পর থেকে বসিরহাট মহকুমার নানা প্রান্তে শান্তি ফেরাতে আলোচনায় বসল বিবদমান পক্ষগুলি। হাড়োয়ায় শান্তি মিছিল বেরোয়। প্রশাসনের উদ্যোগেও শান্তি বৈঠক হয়েছে স্বরূপনগরে। সেখানে ছিলেন সাংসদ, বিধায়কেরা। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে নতুন করে আরও চার কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। দিনের শেষে বসিরহাটের এসডিপিও নীতেশ ঢালি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।’’
তবে সকালের দিকে বসিরহাট স্টেশন-সংলগ্ন এলাকা, ভ্যাবলা, পাইকপাড়া, রামনগর, হরিশপুর, ট্যাঁটরাবাজারে একাধিক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। বাজার-দোকান ভাঙচুর করে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মার খেয়েছে পুলিশ, র্যাফ।
আরও পড়ুন: ঘরছাড়া অন্তঃসত্ত্বাদের আশ্রয় এখন কওসর-অসীমরাই
তবে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ২২ জন। জখম হয়েছেন র্যাফ ও পুলিশের তিন জন। পাইকপাড়ায় পুলিশ-র্যাফের গাড়ি ঘিরে ফেলে জনতা। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চলে। চোট পান এসডিপিও। পরে আরও বড় বাহিনী আসে। তাদের লক্ষ করে বোমা-গুলি উড়ে আসতে থাকে। পুলিশের টিয়ার গ্যাসের সেল লেগে রক্তাক্ত হন এক ব্যক্তি। এর পরেই পিছু হটে জনতা।
এ দিকে, রাজ্যের কাছে বসিরহাট নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যপালের রিপোর্ট এখনও যায়নি। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কথা হয়েছে দিল্লিতে। অধীর দাবি করেছেন, রাজনাথ তাঁকে বলেছেন, রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে না।