Suvendu Adhikari

বার বার চাইলেও সময় দেননি রাজ্যপাল! ক্ষুব্ধ শুভেন্দুরা সচিবের কাছেই জমা দিলেন স্মারকলিপি

রাজ্যপাল লা গণেশন রাজভবনে না থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি বিজেপি বিধায়কদের। এর আগে অক্টোবর মাসেও একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়েও রাজ্যপালের সাক্ষাৎ পাননি শুভেন্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৩০
Share:

স্মারকলিপি জমা দিতে এসে রাজ্যপালের উপরে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু-সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক। ফাইল চিত্র।

অখিল-বিতর্কে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্যপালের কাছে একাধিক বার তাঁরা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু লা গণেশন তাঁদের কোনও সময় দেননি। এই অভিযোগ তুলে সোমবার রাজভবনে এসে রাজ্যপালের সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে অখিল গিরিকে সরানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাতে রাজ্যপাল ‘পরামর্শ’ দেন, সেই দাবিও জানানো হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে। একই সঙ্গে শুভেন্দু-সহ বিজেপির একাধিক বিধায়ক রাজ্যপাল লা গণেশন সম্পর্কে নিজেদের ক্ষোভ গোপন করেননি।

Advertisement

স্মারকলিপি জমা দিতে এসে রাজ্যপালের উপরে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি বিধায়কেরা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রসঙ্গে কারামন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বিধানসভা থেকে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল রাজভবন যায়। সেখানে রাজ্যপালের অনুপস্থিতিতে তাঁর সচিবের কাছেই স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। মন্ত্রিসভা থেকে অখিলকে সরানোর দাবিতেই তাঁরা রাজভবনে গিয়েছিলেন। তবে রাজ্যপাল লা গণেশন রাজভবনে না থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি বিজেপি বিধায়কদের। এর আগে অক্টোবর মাসেও একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়েও রাজ্যপালের সাক্ষাৎ পাননি শুভেন্দু।

সোমবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে নিজের ক্ষোভ গোপন করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার রাত থেকে দফায় দফায় রাজভবনে মেল করে রাজ্যপালের সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সময় দেওয়া হয়নি। তাই আমরা রাজভবনে এসে রাজ্যপালের দেখা না পেয়ে তাঁর সচিবের কাছে আমাদের দাবিপত্র জমা দিয়ে গেলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপালের হাতে ক্ষমতা আছে। যা ব্যবহার করে তিনি এক জন মন্ত্রীকে সরানোর পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীকে দিতেই পারেন। আমাদের দাবিপত্রে সে কথা লেখা রয়েছে।’’

Advertisement

এর আগে জগদীপ ধনখড় যখন রাজ্যপাল, সেই সময় বিজেপি পরিষদীয় দলের কাছে ছিল রাজভবনের দ্বার ছিল অবারিত। কিন্তু তিনি দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর রাজ্যে অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে রয়েছেন গণেশন। তার পর থেকেই বিজেপি পরিষদীয় দল অভিযোগ তোলে, তাদের সঙ্গে ‘অসহযোগিতা’ করছে রাজভবন। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালেরও অভিযোগ, ‘‘রাজ্যপালের সচিব একটু বেশি কৌশলী পদক্ষেপ করছেন। যা আমরা ভাল চোখে দেখেছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন