প্রতীকী ছবি।
ঋতুকালে পেটে এত ব্যথা হয় কেন? প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া কি অন্যায়?
বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের এই প্রশ্ন নতুন কিছু নয়। এই বয়সে প্রায় সকলের মনেই উঁকি মারে এগুলো। কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? অনেক সময়ে বাবা-মা ‘বন্ধু’ হিসেবে সন্তানদের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করলেও পারেন না। আবার ছেলেমেয়েদের মনে উঁকি মারা কৌতূহলকে অনেকেই এড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর না-মেলায় অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়ে।
এ বার সরাসরি ‘টোল-ফ্রি’ নম্বরে ফোন করে বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সহজেই পাওয়া যাবে। ছেলেমেয়ে কিংবা বাবা-মা, যে-কেউ ওই নম্বরে ফোন করতে পারেন।
চাইল্ড লাইনের মতোই দেশ জুড়ে এক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে আজ, বৃহস্পতিবার আত্মপ্রকাশ করছে এই টোল-ফ্রি নম্বর। নাম ‘টিন-লাইন’। প্রাথমিক ভাবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই নম্বর চালু থাকবে। এই নম্বরে ফোন করলে সরাসরি মনোবিদের সঙ্গে কথা বলা যাবে। দেশের যে-কোনও প্রান্ত থেকে সরাসরি এই নম্বরে ফোন করলে বয়ঃসন্ধিকালের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর, সেই সঙ্গে ভয় ও সংশয় কাটানোর পরামর্শ মিলবে বলে জানিয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং-সহ ছ’টি জেলা এবং কলকাতা ও জলপাইগুড়ি রেলওয়ের চাইল্ড লাইনের দায়িত্বে থাকা এই বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ২০০২ সালে নিজেদের হোমে থাকা কিশোর-কিশোরীদের জন্য এ ধরনের একটি নম্বর চালু করেছিল। কিন্তু সেটি টোল-ফ্রি নম্বর না-হওয়ায় অনেকেই সমস্যার কথা জানাতে পারেনি। এ বার টোল-ফ্রি নম্বর চালু হওয়ায় নিখরচায় ফোন করা যাবে বলে জানান ওই সংস্থার এক কর্তা।
ওই বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধিকর্ত্রী ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘শারীরিক, মানসিক ও আবেগজনিত সমস্যায় জেরবার হয়ে কম বয়সে অনেকেই দিশাহারা হয়ে পড়ে। অস্তিত্বসঙ্কটও তৈরি হয় তাদের মধ্যে। টোল-ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে টিন-লাইনে যোগাযোগ করলে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা হবে। তাতে অনেক সমস্যাই মিটবে বলে আশা করছি আমরা।’’