WB Panchayat Election 2023

একসঙ্গে রাঁধেন দুই বৌ, প্রচার করেন দুই ভাই, চন্দ্রকোণায় দুই জা-কে টিকিট বিজেপি আর তৃণমূলের

দুই জা প্রার্থী হলেও তাঁদের স্বামীরাই করছেন প্রচার। স্ত্রীদের জেতাতে মরিয়া দুই ভাই। যদিও পরিবারের সদস্যদের দাবি, ভোটের ফল যাই হোক, তার প্রভাব পড়বে না পরিবারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ২১:৫৫
Share:

ঘরের কাজে ব্যস্ত তৃণমূলের প্রার্থী মামণি (বাঁ দিকে), বিজেপির প্রার্থী মিতালি (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

হেঁশেলে বসে একসঙ্গে আনাজ কাটেন দুই জা। রান্না করেন। খাওয়াদাওয়াও একসঙ্গে। বাড়ি থেকে বার হলেই তাঁদের দু’জনের পথ দু’দিকে বেঁকে যায়। চলতি পঞ্চায়েত ভোটে মুলা পরিবারের দুই জা লড়ছেন দুই যুযুধান দলের টিকিটে। মিতালি মুলা লড়ছেন বিজেপির টিকিটে। আর মামণি মুলাকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের মানিককুণ্ড পঞ্চায়েতের ১৯৪ বুথের কাশকুলি গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাশকুলি বুথ বিজেপির দখলে যায়। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কাশকুলিতে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চিন্তায় ছিল শাসকদল তৃণমূল। মামনির স্বামী আশিস মুলা দীর্ঘদিন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট প্রভাবও রয়েছে। তাই মামনিকেই প্রার্থী করে শাসক দল। অন্য দিকে, মিতালির স্বামী সুভাষ মুলা আগে তৃণমূল করলেও বছর পাঁচেক ধরে বিজেপি সঙ্গে যুক্ত। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে তাই সুভাষের স্ত্রীকেই টিকিট দেয় বিজেপি।

দুই জা প্রার্থী হলেও তাঁদের স্বামীরাই করছেন প্রচার। স্ত্রীদের জেতাতে মরিয়া দুই ভাই। যদিও পরিবারের সদস্যদের দাবি, ভোটের ফল যাই হোক, তার প্রভাব পড়বে না পরিবারে। আশিস, সুভাষের বড় দাদা দেবাশিস মুলা বলেন, ‘‘দুই ভাইকে বলে দেওয়া হয়েছে, বাড়ির বাইরে ভোট মিটে গেলে যে-ই জিতুন, যে-ই হারুন, পরিবারে রাজনীতি প্রবেশ করানো যাবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement